কলকাতা: মন্ত্রিত্ব আগেই ছেড়ে ছিলেন, এদিন বিধানসভা ভবনে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ইস্তফাপত্র দিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেই শোনা গিয়েছে আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদান করবেন তিনি। তাই আজকের পদত্যাগের পর সেই বিষয় নিয়ে আরো জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে তৃণমূলকে করলেন তুলোধনা।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘এটা হওয়ারই ছিল। এর আগে অনেক বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলে না আছে গণতন্ত্র, না আছে সম্মান। যারা যারা পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তন চান এবং বাংলার উন্নয়ন চান তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন’। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, তাঁর বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই খবর ছড়িয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে জল্পনা রয়েছে। বিজেপি অপেক্ষা করছে, তবে শুভেন্দু অধিকারী কি করবেন সেটা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত হবে। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেই ভাবেই ভবিষ্যতে এগোনো হবে।
There are rumours & people are also hoping for the same. Chain of events is heading towards that. We’re waiting, it is up to him to decide what does he want to do: West Bengal BJP chief Dilip Ghosh when asked on speculations of Suvendu Adhikari joining BJP during HM’s visit to WB https://t.co/3Afipaq8BT
— ANI (@ANI) December 16, 2020
উল্লেখ্য, এদিন বিকেল চারটে নাগাদ বিধানসভা ভবনে পৌঁছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফা দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই সময় সেখানে ছিলেন না তিনি। অতঃপর স্পিকারের সচিবের কাছে সেই পদত্যাগপত্র পেশ করেন তিনি। যদিও উদ্যোগ না থাকায় তাঁর পদত্যাগপত্র এখনো পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। ইস্তফাপত্র প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগে বিধানভবনে গিয়ে তিনি ইস্তফাপত্র দেখবেন, তারপর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন। তার আগে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নয়। বিমানের কথায়, শুভেন্দু অধিকারীর যেভাবে সচিবের হাতে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন সেটা বৈধ নয়, এইভাবে পদত্যাগপত্র সচিবের হাতে দিয়ে পদত্যাগ করা যায় না।অন্যদিকে, তিনি যে বিজেপিতে যোগদান দেবেন সে নিয়ে চর্চা প্রথম থেকেই ছিল, তবে শুধু জনসমক্ষে ঘোষণা বাকি ছিল। এখন তিনি যে বিজেপিতে যোগদান করছেন তা মোটামুটি পরিষ্কার। বিগত কিছুদিনে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ঘাসফুলের একাধিক নেতাকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। ইঙ্গিত দিয়েছেন, যারা বড় বড় কথা বলছেন তারা ভোটের বাক্সের মাধ্যমে জবাব পেয়ে যাবেন।