কলকাতা: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে ভার্চুয়াল ভাষণ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এতদিন পর্যন্ত ভয়, গ্লানি নিয়ে উদ্যাপন করতে হয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন, এমনটাই শোনা গেছে দিলীপবাবুর ভাষণে। তবে বর্তমানে ভারতবাসী তথা বাংলার সমর্থন পেয়ে মাথা উঁচু করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে পারছেন তাঁরা। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এমনই বক্তব্য রাখলেন তিনি। উপস্থিত ছিলে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাসহ কৈলাস বিজয়বর্গী, সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা প্রমুখ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন শুরুতেই বলেন, 'এই প্রথমবার আমরা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির সামনে মাথা উঁচু করে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারছি। বছরের পর বছর তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে আসছি। তাঁকে সম্মান জানাচ্ছি। কিন্তু মনের মধ্যে সংকোচ নিয়ে। ভয় নিয়ে। গ্লানি নিয়ে। কিন্তু প্রথমবার তাঁর স্বপ্ন কিছুটা সফল করেছি। তাঁর বলিদানের খানিকটা সার্থকতা আমরা আনতে পেরেছি। তাই তাঁর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি।' আর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের সমর্থনেই।
তিনি বলেন, 'আমরা ২ কোটি ৩০ লক্ষ ভোট পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের এত মানুষ একসঙ্গে প্রথমবার বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল করার জন্য আমরা যে দৃঢ় পদক্ষেপ করতে পেরেছি তার ফলেই এই সমস্যা হচ্ছে। সেই শ্যামাপ্রসাদ, যিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম মন্ত্রীসভায় আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন থেকেই দেশকে আত্মনির্ভর করার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেই অনুসারে অনেক পদক্ষেপও করেছিলেন। আজ ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী তথা দূরদর্শী নেতা নরেন্দ্র মোদী দেশকে আত্মনির্ভর করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। এই সঙ্কটের সময় তিনি একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রেখেছেন, দেশের ১৩৫ কোটি মানুষকে আহ্বান করেছেন, আসুন দেশকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তুলি। দেশের মানুষ তাঁকে সম্পূর্ণভাবে আশ্বস্ত করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।'
দেশের উন্নতির জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকার কথাও এদিন বলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেননি। তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছিলেন। বহু সংস্থা তৈরি করেছিলেন। শিল্প তৈরি করেছিলেন। বাঁধ তৈরি করেছিলেন। ভ্যালি কর্পোরেশন তৈরি করেছিলেন। দেশকে আর্থিকভাবে, শিক্ষার দিক থেকে, শিল্পের দিক থেকে দেশকে উন্নত করার জন্য তিনি পদক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর যে রাজনৈতিক জীবন, তাতে খুব তাড়াতাড়ি তাতে ইতি টান দেয় কিছু দেশদ্রোহী মানুষ। তাই তিনি সফল করতে পারেননি।'