কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের এপিসেন্টার ছিল নন্দীগ্রাম, এবার উপনির্বাচনে এপিসেন্টার ভবানীপুর। প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস যেমন রুদ্ধশ্বাস প্রচার করছে ঠিক তেমনি নিজেদের কৌশলগত প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু আগের মত খোলাখুলি আর প্রচার করছে না তারা! এবার প্রচার হচ্ছে ‘গোপনে’। কেমন এই প্রচার? কেন এই প্রচার? এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সরাসরি আঙুল তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দিকেই।
আরও পড়ুন- পুজোর মরশুমে সুখবর! আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। ঠিক ভাবে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না তাই গোপন প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোপন প্রচারের অর্থ, বিজেপি প্রার্থী কখন, কোথায় যাবেন সে ব্যাপারে আগে থেকে কিছু বলা হচ্ছে না। কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজের মত প্রচার করবেন প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল। দিলীপ জানাচ্ছেন, বিজেপির প্রার্থীর প্রচার শুরু করলেই তার আশেপাশে দেখা যাচ্ছে যে বেশ কিছু লোক পিছু নিচ্ছে। তাদের দেখে বাকিদের সন্দেহ হচ্ছে। সেই কারণেই এমন গোপন প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়ালকে। তিনি অভিযোগ করেন যে, সিভিল ড্রেসে পুলিশ তার সঙ্গে ঘুরছে তাই মানুষ বুঝতে পারছে না যে তারা আদতে পুলিশ না তার সমর্থক। এই কারণে তাঁর সঙ্গে অনেক লোক হয়ে যাচ্ছে এবং করোনা ভাইরাস নিয়মবিধি তিনি মানছেন না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই দিলীপের স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই বিজেপিকে প্রচার করতে দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন- ন’বছর পর অবশেষে কার্টুন মামলায় আংশিক ছাড় পেলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র
আগেই তাঁর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, কমিশন নির্দেশ মেনে করোনা নিয়ম অনুসরণ করেননি তিনি, মনোনয়নপত্র জমা করার সময় জনসমাগম হয়েছিল, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে অনেক গাড়ি ছিল, দলীয় পতাকা ছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও প্রিয়াঙ্কা বলছেন, তিনি নিয়ম মেনেই কাজ করেছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে ভয় পেয়েছে বলে প্রচার বন্ধ করে দিতে চাইছে।