ড্রাগ নিয়ে রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রীরা অভব্যতা করেছে: দিলীপ

ড্রাগ নিয়ে রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রীরা অভব্যতা করেছে: দিলীপ

bd01f15234004fbcba8699facb0a2eaf

কলকাতা: বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ যেন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শিরোপা পেতে চলেছে৷ রাজ্যের প্রতিটি বিষয় নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন৷ এবং প্রতিটি বক্তব্যে বিতর্কের ঢেউ ওঠে৷ রবীন্দ্র ভারতীতে বসন্ত উৎসবের দিব পিঠে অশ্লীল লেখার বিষয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি৷ তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই মেয়েদের  ড্রাগ খাইয়ে এই ধরনের কাজ করানো হয়েছে৷ যদিও শুক্রবার বিশ্বভারতীতে এসে ওই ছাত্রীরা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন৷
 

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের আচরণ সংস্কৃতির অপমান। রাজ্যে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতে মেয়েদের ড্রাগ খাইয়ে আন্দোলনে নামানো হচ্ছে। মহিলারা যে ধরনের ব্যবহার করছেন, এতে তাঁরা যে কোনও জায়গায় হিংসার শিকার হতে পারে। সমাজের অবস্থায় কোথায় গিয়েছে, তা ভাবতে হবে। উল্লেখ্য, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসবে শাড়ি পরা কিছু মহিলার খোলা পিঠে আবির দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে অশ্লীল শব্দ লেখা রয়েছে। মেয়েদের পাশাপাশি কয়েকজন ছেলের বুকেও অশ্লীল শব্দ লেখা। যা ঘিরেই মূলত বিতর্ক শুরু হয়েছে।

রবীন্দ্র ভারতে অশ্লীলতার দায় নিয়ে শুক্রবার রাতেই পদত্যাগ করেন রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য৷ তিনি আচার্য রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান৷ তার একটি প্রতিলিপি তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠান৷ তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করেন৷ অন্য দিকে রবীন্দ্র ভারতীয় পড়ুয়ারাও তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করেন৷

শুক্রবার সকাল থেকে ভাইরাল হয়ে যায় বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসন্তোৎসবের অভব্যতা। নানা প্রান্তে ছিঃছিঃকার শুরু হয়। অনেকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর উপাচার্যের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা যায় ক্ষোভের সুর। শুক্রবার “এটা কী হচ্ছে বলুন তো! কী চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।”

তিনি আরও বলেন, “ওই তরুণ-তরুণীদের অভিভাবকরা দেখলে তাঁরাও চোখের জল ফেলবেন। কী ভাষা! এই ঘটনা লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে।” শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “আমি উপাচার্য এবং প্রশাসনকে বলেছি, যা ভাল মনে হয় করুন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি সামনের বার থেকে এই ধরনের ঘটনা যাতে কোনও ভাবেই না ঘটে।” পরে জানা যায়, ওই ঘটনায় জড়িতরা বহিরাগত। শুক্রবার তারা ক্ষমা চাইতে হাজির হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। মুখ ঢেকে বসে থাকতে দেখা যায় ওই তরুণ-তরুণীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *