কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনায় এখন উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক মহল। বিরোধীরা ধিক্কার জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। কৃষকদের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা বাইরে ঘুরলেও গ্রেফতার করা হয়েছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়াকে। অন্যদিকে আবার সেখানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। গতকাল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে আদিত্যনাথ সরকারের ওপর।
দিলীপের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশ সরকার যথেষ্ট দায়িত্বশীল এবং এই ধরণের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে যা দুঃখজনক, কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা এবং দায়িত্ব দুইই আছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারাকে নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাতেও যখন এই ধরণের ঘটনা ঘটে তখন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিজেপির নেতাদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয় না। আগেই আটকে দেওয়া হয়। অনেক সময় বেশি যাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সরকার এই ধারা লাগু করে, পুলিশের কাজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন এই একই কাজ করছে। দিলীপ মনে করিয়ে বলেন, ”বসিরহাটে কার্তিক ঘোষ মারা গিয়েছিলেন দাঙ্গাতে। তিনি আমাদের দলীয় কর্মী ছিলেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আমাদের অনেক নেতা-নেত্রীকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এগুলি করে থাকে।”
উল্লেখ্য, গতকাল এই ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে স্বৈরতন্ত্র চলছে, গণতন্ত্র চলছে না তাই সাধারণ মানুষের উচিত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া। এদিকে, লখিমপুরের ঘটনায় বিজেপি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, উত্তরপ্রদেশকে ওরা রাম রাজ্য বলে, এটা কি তবে রাম রাজ্য না কিলিং রাজ্য? আসলে মমতাকে প্রশ্ন করা হয় যে এই ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফা দেওয়া উচিত কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরেই এমন মন্তব্য করেন মমতা।