উলুবেড়িয়া: অসমে বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল দেশে। এবার খাস পশ্চিমবঙ্গের এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এবার নিশানায় তৃণমূল নেতা। উলুবেরিয়া তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ইভিএম উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপি আক্রমণ করতে শুরু করেছে শাসক দলকে। এই ঘটনার প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, বদমাইশি করে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এসব করে কোন লাভ হবে না।
দিলীপের বক্তব্য, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে ইভিএমের উপর ভরসা নেই, অন্যদিকে ইভিএম তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচনে হেরে গিয়েছে এটা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাই জন্য এইসব করে ভোট লুট করতে চাইছে তারা। তবে এইসব দীর্ঘ দিনের অভ্যাস তাই অভ্যেস যেতে কিছুদিন সময় লাগবে বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে মন্তব্য করেন, বদমাইশি করে নির্বাচনে জিততে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এনে একহাত নেন শাসক দলকে। দাবি করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ভাবে ভোট করিয়েছিল তৃণমূল, এখন ভাবছে সেই একই ভাবে ভোট করাবে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে সেক্টর অফিসার নিজে চারটি ইভিএম নিয়ে পৌঁছনোর পরই অশান্তির সূত্রপাত৷ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন৷ এই ঘটনায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ ডেপুটি ইলেকশন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন৷ পাশাপাশি সেক্টর পুলিশ অফিসারদের ভূমিকা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে সিভিল প্রশাসনের সেক্টর অফিসারকে যেমন সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ তেমনই পুলিশের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন৷ কারণ বলা হচ্ছে, এই ঘটনায় পুলিশের উপরেও সমান দায়িত্ব বর্তায়৷