কলকাতা: বাংলায় নির্বাচন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকে বিজেপি নেতৃত্ব হুঙ্কার দিয়েছিল যে, ‘আবকি কি বার, ২০০ পার’। ভোটের মধ্যেই এমন কোনও বিজেপি নেতা নেই যারা এই হুঁশিয়ারি দেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ বঙ্গ নেতাদের প্রত্যেকে এই দাবি করে এসেছেন। তবে ভোট শেষের অধিকাংশ এক্সিট পোল বলছে ২০০ তো দূর, ১৭০-এর কাছাকাছি নেই বিজেপি, আবার ফিরতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই হয়তো এবার একটু মেপে পা ফেলছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এখন তাঁর বক্তব্য, ‘২০০’র কাছাকাছি আসন পাব’।
২ মে কী হবে তা জানে খোদ ২ মে’ই! তবে তার আগে সব দলই তাদের জয় দেখতে পাচ্ছে। যদিও এক্সিট পোল নিয়ে একেবারেই মাতামাতি করতে রাজি নন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলছেন, ”এক্সিট না একজ্যক্ট পোল বড় কথা। কিছু সংস্থা তৃণমূলকে এগিয়ে রেখেছে। তবে অনেকেই আছে, যারা চার মাস আগে যা বলেছিল আজও তাই বলছে। ২ তারিখ সব বোঝা যাবে। আমরা যা চেয়েছি তাই হবে। ২০০’র কাছাকাছি আসন পাবই।” তবে ২০০-র বেশি আসন যে বিজেপি পাচ্ছে তা এখনও পর্যন্ত বিশ্বাস করে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা বিজেপি তারকা প্রার্থী হিরণ, সায়ন্তন বসুরা। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপিই বাংলায় ক্ষমতায় আসছে আর ২০০-র বেশি আসন নিয়েই আসছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসও এক্সিট পোলকে অতটা গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় বেশি বিশ্বাস করছে। তাদের দাবি, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে ঘাসফুল।
উল্লেখ্য, একাধিক এক্সিট পোল অনুযায়ী, তৃতীয়বার মসনদে বসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার গড়তে পারে তৃণমূল। বিজেপি ঝড় থেমে যেতে পারে তুলনায় অনেক কম আসনেই। বেশি আসন পাচ্ছে না সংযুক্ত মোর্চাও। তবে বুথফেরত সমীক্ষাই শেষ কথা নয়। ভারতের মতো এতবড় গণতান্ত্রিক দেশে ভোটদাতাদের মন বোঝা বড়ই মুশকিল। তাই এক্সিট পোলের সঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফলের থাকতে পারে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।