‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যুতে ইতি টানার চেষ্টা দিলীপের, দিলেন স্পষ্ট বার্তা

‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যুতে ইতি টানার চেষ্টা দিলীপের, দিলেন স্পষ্ট বার্তা

কলকাতা: ‘বাংলা ভাগ চায় না বিজেপি’। স্পষ্টভাবে এদিন ফের এই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদ জন বার্লা থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, সকলে বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছেন। উত্তরবঙ্গ ভাগ থেকে শুরু করে জঙ্গলমহল পৃথক করার আওয়াজ তোলা হচ্ছে। এই ইস্যুতে সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করার কোন পরিকল্পনা নেই বিজেপির। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার একই কথা আরো স্পষ্ট করে বললেন তিনি।

দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এর আগে দেশে অনেক রাজ্য ভাগ হয়েছে, স্বাধীনতার সময় হয়েছে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর ভাগ হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে, কেউ কেউ ভাবতেই পারে নিজের মতো থাকবো, নিজের সরকার চালাবো। এখন রাজ্যের যে ছোট ছোট জেলা রয়েছে তারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করে। কারণ সার্বিকভাবে তাদের উন্নয়ন হয়নি। হতাশা থেকে তারা হয়তো এই কথা বলছেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি এই রাজ্যকে একটা রাজ্যই মনে করে। দলের সঙ্গে বহু মানুষের যোগাযোগ রয়েছে এবং তাদের নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। সেই মতামত তারা দিচ্ছেন। কিন্তু দলের যেটা মত হবে সেটা মেনেই সকলকে কাজ করতে হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যে পরিষ্কার যে তিনি বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কিত যে ইস্যু তাতে ইতি টানার একটা চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে পরিষ্কার হচ্ছে যে বঙ্গ বিজেপি এই ইস্যু নিয়ে প্রবল অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘পুরষরা রোবট নয়, মেয়েদের স্বল্প পোশাক দেখে প্রভাবিত হতেই পারে’, ফের বিতর্কে ইমরান

এর আগেও বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এবং সৌমিত্র খাঁর বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কিত মন্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে একটি রাজ্য হিসেবেই দেখে এবং তার সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবে। এক্ষেত্রে কে কী বলছে তার দায় দলের নয়। যদিও এই প্রসঙ্গেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে এখন সব জায়গায় অশান্তি চলছে, তাই কেউ কেউ হয়তো হতাশা থেকে এই ধরনের মন্তব্য করছেন। তবে তাদের বক্তব্যের সঙ্গে দলের কোনো রকম সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট করে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *