‘এমন ভান করছে, যেন তৃণমূল একাই নির্বাচনে লড়ছেন’

‘এমন ভান করছে, যেন তৃণমূল একাই নির্বাচনে লড়ছেন’

কলকাতা: ‘‘প্রায় সাড়ে ৩০০ সিটে নির্বাচন হচ্ছে। ত্রিপুরার আগরতলাতে ৫১টি সিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আর দু’একটি। মেগাশোতে ওনাদের রোল কি আছে? এমন ভাব করছে যেন ওনারা একাই নির্বাচনে লড়ছেন, আর কেউ নির্বাচনে নেই।’’ ঠিক এই ভাষাতেই ত্রিপুরার পুরভোট প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

তীব্র তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ‘‘যারা প্রার্থী দিতে পারেনি ৫০ শতাংশ আসনেও, তাদের লড়াই নিয়ে কি হবে?’’ দাবি করেছেন, ‘‘আসলে অভিযোগ কিছু করতে হবে, পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য। এখানে মিডিয়া গরম করে কি লাভ? সন্ত্রাস কাকে বলে দেখুন না আপনাদের চ্যানেল গুলো খুলে দেখুন। মহিলাদের উপর অত্যাচার, খুন রোজ হচ্ছে। আর তাদের পার্টির মধ্যেই হচ্ছে। হিংসাশ্রয়ী পার্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনে হিংসাশ্রয়ী করে তুলেছে। আর তারা যদি ওখানে হিংসার কথা বলে! যারা এখান থেকে হিংসাকে ওখানে নিয়ে যাচ্ছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং উদ্বোধন করার কথা বলেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বলা কথার ‘সত্যতা’ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ৷ তাঁর কথায়, ‘‘কি হয়েছে ভিতরে, সে কথা আমরা জানি না। উনি বলছেন। উনি কতটা ঠিক বলেন, সত্য বলেন সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি।’’

একই সঙ্গে টিপ্পনি কেটে যোগ করেছেন, ‘‘যদি হয়ে থাকে তাহলে খুব ভাল হয়েছে। এটা যদি ১০ বছর আগে উনি মোদিজীর সঙ্গে বসে পশ্চিমবাংলায় শিল্পের জন্য চিন্তা ভাবনা করতেন, আমন্ত্রণ করতেন তাহলে মোদিজীর ইমেজে গুজরাট থেকে শুরু করে সারাদেশে আজকের শিল্প যেভাবে বাড়ছে, তাহলে বাংলাও এতদিন পিছিয়ে থাকতে হত না৷ যদি এটা হয় তাহলে নিশ্চয়ই বাংলায় শিল্প আসবে। বাংলার ছেলেদেরকে বাংলা ছেড়ে যেতে হবে না। চাকরি পাবে, উন্নয়ন হবে এবং অর্থনীতি ও চাঙ্গা হবে।’’

টেনে এনেছেন রেশন প্রসঙ্গ, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আজীবন রেশন দেবেন৷ কিন্তু যেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছে যে রেশন বন্ধ করে দেবে তখনই হাহাকার পড়ে গিয়েছে, চিঠি লেখা শুরু হয়েছে। শুধু ভাঁওতাবাজির রাজনীতি। দিল্লি থেকে ভিক্ষা চান, এখানে এসে সেই ভিক্ষা মানুষকে দান করেন। এই রাজনীতি বেশিদিন চলতে পারে না। আর পশ্চিমবাংলার জন্য এই রাজনীতি মোটেই ঠিক নয়।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 1 =