‘মেলা বন্ধ থাকলে ক্ষতি হত না’, গঙ্গাসাগর নিয়ে চিন্তিত দিলীপ

‘মেলা বন্ধ থাকলে ক্ষতি হত না’, গঙ্গাসাগর নিয়ে চিন্তিত দিলীপ

কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা হওয়া নিয়ে একটা দোটানা ছিল। মেলা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি হচ্ছিল। রাজ্য সরকার পূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মেলা করানোর। গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের পক্ষেই রায় দিয়েছে। শর্তসাপেক্ষে মেলা হবে। কিন্তু এই মেলা নিয়ে চিন্তিত বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলছেন, এক বছর মেলা না হলে ক্ষতি হত না। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে তা ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করবে।

দিলীপ জানিয়েছেন, মেলা করার ব্যাপারে রাজ্যের উচিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া। কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখা উচিত মেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে। চেকিংও আবশ্যিক করা উচিত। যা পরিস্থিতি তাতে এক বছর মেলা নাও করা যেত। মেলা না করলে কোনও ক্ষতি হত না। কিন্তু সংক্রমণ ছড়ালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে, যা নিয়ে চিন্তা। উল্লেখ্য, এই মেলা করার অনুমতি দিয়ে গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের যে কোভিড বিধি রয়েছে তা পালন করতে হবে। মেলায় যারা আসবেন তাদের সকলকে এই নিয়ম মেনে তবেই মেলা প্রবেশ করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে তিনজন মেলার শুরু থেকে শেষ, সবকিছু তদারকি করবেন। করোনা বিধি মানা হচ্ছে কী হচ্ছে না, সমস্ত কিছু তাদের নজরে রাখতে হবে।

আদালত আরও জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্য যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট তার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিরোধী নেতা এবং মানবাধিকার কমিটির চেয়ারম্যান বা কোনও প্রতিনিধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 7 =