কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষের পুনর্নির্বাচন নিয়ে প্রায় কোনও সন্দেহই নেই৷ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় হয়েছেন দিলীপ৷ তাঁর সময়কালে রাজ্যে বিজেপি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মুখও দেখেছে৷ সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের মহা গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সভাপতি হিসাবে নতুন মুখ চাইছে না কেন্দ্রীয় পার্টি৷
বিজেপি'র অন্তর্দলীয় নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ কবে পুনরায় সভাপতি ঘোষিত হবেন তা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম অনুমান করছেন৷ তবে, যা খবর, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আবার নতুন করে সভাপতি ঘোষিত হতে পারেন দিলীপ৷ সূত্রের খবর, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বিজেপির অন্তর্দলীয় নির্বাচন পক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ বুথ সভাপতি, বুথ কমিটি, মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতির নির্বাচন হবে হয়ে গিয়েছে৷ তারপর, শুরু হবে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কাজ৷ এবং, এর সঙ্গেই রাজ্য থেকে বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচন একইরকম ভাবে হবে৷ আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু, কিছু বাকি রয়েছে৷
বিজেপির সভাপতি নির্বাচন পক্রিয়া ঠিক কেমন হয়? সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক নেতার বলেন, অত্যন্ত মতবিরোধ যদি না থাকে, তবে, সাধারণত ব্যালট দিয়ে ভোট হয় না৷ সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন৷ সেটিই নিয়ম৷ সভাপতি নির্বাচন সব শেষে হয়৷ ২০১৫ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপি সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালেই সভাপতি হিসাবে নিজের প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন৷ কিন্তু, পার্টি তাঁকে দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা করতে বলেছিল অনেক আগেই৷
বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, একজন সভাপতি দুই বার পরপর তিন বছর করে সভাপতিত্ব করতে পারেন৷ কিংবা ৬ বছর টানা সভাপতিত্ব করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে যেটা আগে হবে সেটিই তাঁর সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসাবে ধরবে পার্টি৷ দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২১ পর্যন্ত সভাপতির চেয়ারে থাকবে তা প্রায় নিশ্চিত৷ কারণ, 'হিন্দুত্বের পোস্টের বয়' দিলীপের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই রাজ্য বিজেপিতে৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিভিন্ন সময় দিলীপ ঘোষেই আস্থা দেখিয়েছেন৷