কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে হইচই। এদিকে এই আইনকে কেন্দ্র করেই মতুয়াদের একটা বড় অংশ তাকিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার নির্বাচনের আবহে দাবি করেছিলেন যে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো বাংলাতেও নাগরিকত্ব আইন প্রযোজ্য হবে। যদিও শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত এর চরম বিরোধিতা করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের একটা বড় অংশ ভোট দিয়েছে বিজেপিকে অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে তারা নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন করছেন। অন্যদিকে তাদের নেতা শান্তনু ঠাকুর ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তাই এবার নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে কার্যত রাজ্যের কোটে বল ফেলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি সহযোগিতা করেন তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তিনি সহযোগিতা না করেন তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সুবিধা মতো এই আইন কার্যকর করবে যখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ঠিক হবে। যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধিতা করে আসছে সেই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, আগে ভালো করে সিএএ, এনআরসি নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত তারপরে এই বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নেতাদের। এই ইস্যুতে যাদের নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা সেই মতুয়া প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়ে দাবি করেছেন, বাম সরকারের মতো তৃণমূল কংগ্রেস সরকারও মতুয়াদের উপেক্ষা করেছে। তারা মতুয়াদের বঞ্চিত করে রেখেছে এবং তাদের জন্য কিছু করেনি। এখন বিজেপি তাদের জন্য কিছু করতে চাইছে, তাই এর জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা দরকার। উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এক দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে এই মন্তব্যই করেছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতির ফায়দা তুলে মাধ্যমিক পাশ করতে চাইছে লক্ষাধিক ‘ভুয়ো’ পরীক্ষার্থী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রথম থেকেই এনআরসি এবং এনপিআর, সিএএ-র বিরোধিতা করে আসছে এবং নির্বাচনী আগ্রহেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বাংলায় এর কোনোটাই কার্যকরী হবে না। শাসক দলের বক্তব্য, যাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে এবং যারা ভোট দেয়, তারা সকলেই নাগরিক। তাই নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।