এবার বন্ধ হোক দুর্গোৎসব, বাঙালি আবেগে নয়া আর্জি দিলীপ ঘোষের

এবার বন্ধ হোক দুর্গোৎসব, বাঙালি আবেগে নয়া আর্জি দিলীপ ঘোষের

কলকাতা: দেশের তথা রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সুস্থতার হার কিছুটা স্বস্তি দিলেও, দিনপ্রতি ভাইরাসের সংক্রমনের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্যবাসীর। এরইমধ্যে আর কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সব রকম নিয়ম বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুর্গোৎসব করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে অর্থ অনুদান দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি স্পষ্ট বলেন, এবারে তিনি চান দুর্গোৎসব বন্ধ হোক।

করোনাভাইরাস আবহে কিছুদিনের মধ্যেই দুর্গোৎসবের সূচনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুজো হবে, তবে সব রকম নিয়ম মানতে হবে জনসাধারণকে। বিভিন্ন মণ্ডপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও পুজো কমিটি এবং সাধারণ নাগরিকের কাছে আবেদন করব, দুর্গাপুজো অবশ্যই করবো আমরা, কিন্তু দুর্গোৎসব এবারে বন্ধ করুন। ভক্তি-শ্রদ্ধা সঙ্গে দুর্গা মায়ের পূজা করুন, তাঁর আরাধনা করুন, তবে এই করোনা মহামারীতে উৎসব বন্ধ হোক’। দিলীপের কথায়, এবছর হোলি উৎসব হয়নি, রামনবমী হয়নি, ঈদ পালন করা হয়নি। তাই ভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে দুর্গোৎসব বন্ধের আর্জি জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এছাড়া আজকের সাংবাদিক বৈঠকে গতকালের নবান্ন অভিযানের প্রেক্ষিতে ফের একবার রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। দিলীপ দাবি করেন, গতকালের বিজেপির নবান্ন অভিযানের সাফল্যে সারা রাজ্য তো বটেই দেশেও হইচই পড়ে গেছে। এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানোর যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। দিলীপের কথায়, এগুলো সবই ভুয়ো মামলা, এগুলির কোন ভিত্তি নেই। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল সবদিক দিয়ে হেরে যাচ্ছে, তাই আইনকে হাতে নিয়ে অবৈধভাবে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে পুলিশের আচরণকে নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়, তবে একটা বিষয় স্পষ্ট বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =