‘মাননীয়া লড়ছেন গ্রেটার বাংলাদেশের লক্ষ্যে’! বিস্ফোরক দাবি দিলীপের

‘মাননীয়া লড়ছেন গ্রেটার বাংলাদেশের লক্ষ্যে’! বিস্ফোরক দাবি দিলীপের

6375a80c6299ba2b987eae61986e2685

কলকাতা: জয় শ্রীরাম স্লোগানের বিরোধিতা করায় সব সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এবার তাঁর দেওয়া স্লোগানকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ সময়। এই স্লোগানের প্রেক্ষিতে দিলীপের বক্তব্য,  “গ্রেটার বাংলাদেশের লক্ষ্যে লড়ছেন মাননীয়া”! নিজের ফেসবুক পোস্টে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

নিজের ফেসবুক পেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে একটি কার্ডের ছবি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে আসে বাংলাদেশ অভিনেতা, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বাংলাদেশি স্লোগান শোনা যায়। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত পুজোয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার আসে উদ্বোধন করতে। সেই পোস্টেই দাবি করা হয়েছে, ইসলামিক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হল জয় বাংলা। তাই আদতে এই স্লোগান ব্যবহার করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন গ্রেটার বাংলাদেশের লক্ষ্যে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের এই ফেসবুক পোস্ট এখন রীতিমত ভাইরাল। যদিও এর পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

Posted by Dilip Ghosh on Wednesday, 27 January 2021

দিলীপ ঘোষের পোস্টের জবাবে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ছোঁয়া আনতে চাইছে বিজেপি। যদিও এই ধরনের অভিযোগ শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয় কংগ্রেস এবং সিপিএমের তরফেও করা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা দিতে ওঠার সময় দর্শক আসন থেকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলা হয়। এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য পেশ না করে জয়বাংলা এবং জয় হিন্দ স্লোগান বলে বসে পড়েন। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি শিবিরের দাবি, জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে আপত্তি মাননীয়ার, এদিকে তাঁর মুখে মুক্তিযুদ্ধের সময় তোলা বাংলাদেশি স্লোগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *