কলকাতা: চৌকাঠে কলকাতা পুরভোট৷ অবাধে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ঘন ঘন মিটিং থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে বা হবে? মঙ্গলবার সকালে এই প্রশ্নটাই সামনে আনলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে দিলীপ বলেন, ‘‘কমিশনের অনেক মিটিং হয়। নির্বাচন অবাধ করতে হবে। না হলে শুধু মিটিং করে লাভ হবে না। ভোট এলেই এরাজ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’’ খানিক থেমে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বাংলার মানুষ নাকি দিদির উন্নয়নে উপকৃত৷ তাহলে ভোট এলেই সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হয় কেন?’’
স্থানীয় পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতি না পেলেও এদিন সিঙ্গুরে দলীয় কর্মসূচি হবেই জানিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘সিঙ্গুরে আমাদের কর্মসূচি হবেই। পুলিশ বাধা দিলেও হবে। তারপর যা হবে দেখা যাবে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার জন্য দায়ী থাকবে পুলিশই৷’’ একই সঙ্গে দেশের নিরিখে তৃণমূলেরহ গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছেন তিনি৷
তাঁর কথায়, ‘‘সারা দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা কোথায়? অভিষেকের ট্যুইট নতুন কি? আগরতলা পুরভোটে বউনি করতে পারলেন না কেন? আগে সেটার জবাব দিন। তারপর তো গোয়া।’’ প্রসঙ্গত, গোয়ার মাটি থেকে সোমবারই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘এবার গোয়ায় খেলা হবে৷’’