কলকাতা: মোদীগড়ে ভোট প্রচারে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বারাণসী ঘাটে যাওয়ার পথে তাঁকে কালো পতাকা দেখায় একদল বিজেপি কর্মী সমর্থক৷ এ প্রসঙ্গে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসা বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “উনি তো প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখিয়েছেন, এবার নিজে কালো পতাকা দেখুন, এবার বুঝুন, কালো পতাকা দেখলে কেমন লাগে।” খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “নারী কেন উনি তো বাঘিনী। বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি? উত্তরপ্রদেশে গিয়ে আবার জেন্ডারও চেঞ্জ হয়ে গেল….”
আরও পড়ুন- ‘CPIM নরেন্দ্র মোদীর মতো মিথ্যেবাদীর দল নয়’, বামেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেষ্ট
প্রসঙ্গত, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় বারাণসী বিমান বন্দরে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি৷ ঘাট থেকে কিছুটা দূরে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি৷ তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়৷ মমতার কনভয় আটকে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতেও চড়-থাপ্পর মারা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে বলেন, আমি বারাণসী ঘাটে যাচ্ছি৷ আপানারা যে ভাবে আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন তার জন্য ধন্যবাদ৷ তবে এসব করে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না৷ উল্লেখ্য, গতকালের এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাজ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। সেই প্রেক্ষিতেই দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করেন৷
পুরনির্বাচনে বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে বামেদের উত্থান প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, এটা তৃণমূলেরই কারসাজি৷ তাঁর কথাও, বামেদের এই উত্থানের পিছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘আগে বামেদের দখলে কটা পুরসভা ছিল, আর এখন কটা আছে? বামেরা তো আগে প্রথম ছিল! এবারের ভোটে বামেদের দ্বিতীয় করা হয়েছে। সিপিএমের যা অবস্থা তাতে তাদেরকে ওষুধ খাইয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। কিন্তু তৃণমূল চাইছে বামেরা দ্বিতীয় স্থানে থাকুক। কিন্তু মানুষ বামফ্রন্টকে আর স্বীকার করছেন না। নৈতিকভাবে জয় বিজেপিরই হয়েছে।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>