খড়গপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক দলবদলের ঘটনায় কার্যত দিশাহারা হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা ব্যানার্জির হাত ছেড়েছেন অনেকেই। এমতাবস্থায় ভোটের মুখে পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এক মন্তব্যে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে। এদিন তৃণমূলের সেই অস্বস্তির ভরকেন্দ্রেই খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল থেকে সমস্ত বড় বড় নেতা বিজেপিতে চলে গিয়েছেন, আর এখন মাঝারি মানের নেতারা পড়ে আছেন, এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়গপুরে দলীয় প্রচারকার্যে বেরিয়ে তিনি বলেন, পড়ে থাকা এই সব মাঝারি মানের নেতারাই এখন দলনেত্রীকে ব্ল্যাকমেল করছেন। “তৃণমূলে এখন মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে”, জানান তিনি।
আরও পড়ুন- নাম বদলে প্রচার, কমিশনে তৃণমূলের প্রার্থী বাতিলের দাবি বিজেপির
বস্তুত, সম্প্রতি পুর মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের একটি বক্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তিনি দাবি করেছেন, বীরভূমের নেতা অনুব্রত মন্ডল ব্ল্যাকমেল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর আপত্তিতেই ইচ্ছে থাকলেও নলহাটিতে মইনুদ্দিন শামসকে টিকিট দিতে পারেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বুধবার এক কর্মী সভায় ফিরহাদ হাকিমের এহেন মন্তব্য আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে এর আগেও এই ধরণের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় নেতারা। এবার স্বয়ং রাজ্যের মন্ত্রীর মুখেও শোনা গেছে সেই বুলি, যার ফলে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
তৃণমূলের অন্দরমহলের এই কোন্দলের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তাকে হাতিয়ার করে ভোট বাজারে ময়দানে নেমে পড়েন দিলীপ ঘোষ। দলের প্রচারে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ওদের দলের ভিতরের অবস্থা ভালো নয়। বড় নেতারা, বিধায়করা সবাই দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। গণ্ডগোলও লেগেই আছে। অনুব্রত মণ্ডলই এখন ওদের বড় নেতা!” বীরভূম ছাড়া অন্য কোথাও তৃণমূল নেত্রী জেতার আশা দেখছেন না, তাও জানান দিলীপ ঘোষ।