কলকাতা: গতবছর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যত সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটে গিয়েছে যখন শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার সঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক এবং নেতা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে। এদিকে বছরের শুরুতেই ফের দলে ভাঙন। পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদত্যাগ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে একেবারেই সময় নষ্ট করেনি বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এক জনসভায় যোগ দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, রোজই তৃণমূলের উইকেট পড়ছে। দলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
দিলীপ ঘোষের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙ্গন শুরু হয়ে গিয়েছে, রোজ রোজ একটা একটা করে উইকেট পড়ছে। পরিস্থিতি এমন যে মুখ্যমন্ত্রীর কারোর ফোন ধরতে ভয় পাচ্ছেন! আরো আক্রমণাত্মক হয়ে দিলীপ বলেছেন, যারা যারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সকালে ব্রেকফাস্ট করছেন, তারাই দুপুরে দল ছেড়ে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে খোঁচা মেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, এখন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দেখতে হচ্ছে ওখানে কিছু অবশিষ্ট আছে কিনা। তবে ক্ষমতায় আসার পর সিবিআই তদন্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ। জানিয়েছেন, সবাইকে জেলে পাঠানো হবে, জেল এই জায়গা হবে তৃণমূল নেতাদের।
প্রসঙ্গত এদিন, রাজনীতি থেকে অবসর চান তিনি, এই মর্মে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান, পুনরায় ক্রিকেটের দুনিয়ায় ফিরে যেতে চান। তবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দেবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি এও জানিয়েছেন, বিধায়ক পদ থেকে তিনি এখন ইস্তফা দিচ্ছেন না, মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।