দুই সরকারের তফাৎ কোথায়? নিজের আর মমতার ছবি দেখিয়ে বোঝালেন দিলীপ

দুই সরকারের তফাৎ কোথায়? নিজের আর মমতার ছবি দেখিয়ে বোঝালেন দিলীপ

কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল অভিনব পন্থা অবলম্বন করে ব্যাটারি চালিত স্কুটিতে নবান্ন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরার সময় তিনি নিজে স্কুটি চালানোর চেষ্টা করেছেন এবং টলোমলো অবস্থার সৃষ্টি হলেও স্কুটি চালানোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনড় ছিলেন। তার এই অভিনব প্রতিবাদ এবং স্কুটি চালানো নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গতকাল এই প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুটার আর সরকার, দুটোই চালাতে পারেন না। এদিন নিজের ফেসবুক পোস্টে ছবি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সরকারের তফাৎ বোঝালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

আরও পড়ুন: স্কুটার আর সরকার কিছুই চালাতে পারেন না! মমতাকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

যে ছবি তিনি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একদিকে স্কুটি চালাতে গিয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে ধরে রয়েছে বেশ কয়েকজন এবং তাঁকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাচ্ছেন একজন। ঠিক এর পাশে নিজের সাইকেল চালানোর ছবি পোস্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বিনা কোন বাধায় অনায়াসে সাইকেল চালাচ্ছেন। মমতার ছবির সঙ্গে লেখা রয়েছে, “অসহায়তা, অকৃতকার্যতা বা পরনির্ভরতা”। অন্যদিকে নিজের ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, “আত্মনির্ভরতা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা বা আত্মপ্রত্যয়”। দুটি ছবির উপরে একদিকে লেখা রয়েছে ‘মমতা সরকার’, অন্যদিকে ‘সোনার বাংলার সরকার’। অর্থাৎ নিজের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দুই সরকারের তফাৎ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

Posted by Dilip Ghosh on Thursday, 25 February 2021

গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর স্কুটি চালানোর বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনি আজীবন স্কুটার, বাইকে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনোই এই ভাবে দেখা যায়নি। তিনি যা করছেন পুরোটাই নাটক। দিলীপ আরও দাবি করেছেন, কিছু টাকা মূল্য বৃদ্ধি হলে কোন মানুষের সমস্যা হয় না। ‌আর সারা দেশের মানুষের আয় বেড়েছে, শুধু বাংলার মানুষের আয় বাড়েনি বলে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাবে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। দিলীপ ঘোষের আরো কটাক্ষ, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনো বাইক বা স্কুটার চালাতে দেখা যায়নি শুধু বাইক চড়তে দেখা গিয়েছিল। আজ তিনি যেভাবে স্কুটার চালাচ্ছেন সেটা বেআইনি কারণ তাঁর কাছে লাইসেন্স নেই। ছবি: দিলীপ ঘোষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =

স্কুটার আর সরকার কিছুই চালাতে পারেন না! মমতাকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

স্কুটার আর সরকার কিছুই চালাতে পারেন না! মমতাকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় অভিনব প্রতিবাদের পথ অবলম্বন করে এদিন ই‌-স্কুটারে নবান্ন গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিষয়টিকে পুরোপুরি নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলোধনা করে তিনি মন্তব্য করেছেন, তিনি স্কুটার আর সরকার কিছুই চালাতে পারেন না।

দিলীপ ঘোষ বলেন, বিগত ১০ বছরে সরকারের আয় বেড়েছে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজেট এবং খরচ বেড়েছে। পেট্রোপণ্যের মূল্য এই প্রথম বাড়ছে না দেশে। আর মূল্যবৃদ্ধিতে সারা দেশের সমস্যা হচ্ছে না শুধু বাংলার সমস্যা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে দিলীপ মন্তব্য করেন, তিনি আজীবন স্কুটার, বাইকে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনোই এই ভাবে দেখা যায়নি। তিনি আজ যা করছেন পুরোটাই নাটক। দিলীপ আরও দাবি করেছেন, কিছু টাকা মূল্য বৃদ্ধি হলে কোন মানুষের সমস্যা হয় না। ‌আর সারা দেশের মানুষের আয় বেড়েছে, শুধু বাংলার মানুষের আয় বাড়েনি বলে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাবে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। দিলীপ ঘোষের আরো কটাক্ষ, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনো বাইক বা স্কুটার চালাতে দেখা যায়নি শুধু বাইক চড়তে দেখা গিয়েছিল। আজ তিনি যেভাবে স্কুটার চালাচ্ছেন সেটা বেআইনি কারণ তাঁর কাছে লাইসেন্স নেই। যদিও সামান্য সৌজন্যতা দেখিয়ে দিলীপ এই প্রশ্ন করেন যে, ঝুঁকি নিয়ে এইভাবে স্কুটার চালানোর কী দরকার ছিল।

প্রসঙ্গত, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে ব্যাটারি চালিত স্কুটির মাধ্যমে নবান্ন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কুটি চালিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে বিকেলে নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ফিরহাদকে স্কুটি থেকে নামিয়ে নিজেই গাড়ি চালানো শেখার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা স্কুটি নিয়ে এগোলেন তবে তাঁর পাশে সাহায্যের জন্য ছিলেন দেহরক্ষীরা। পরে অবশ্য ফিরহাদ হাকিম সকালের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেছনে বসিয়ে ফেরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 16 =