কলকাতা: হঠাৎ করেই যেন অদ্ভুত এক কারণে সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়। না, রাজনৈতিক কারণ তো বটেই, কিন্তু যে ধরণের মন্তব্য তিনি করে চলেছেন তাতে বিতর্ক হবেই। কিছুদিন আগেই বলেছিলেন যে, উপনির্বাচনে তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। পরে নিজের বক্তব্য শুধরে নিয়ে জানিয়েছিলেন ভুল করে বলে ফেলেছেন। কিন্তু গতকাল যা বলেছেন তা আরও ‘ভয়ানক’। বলেছেন, কৃষ্ণনগরে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়ালে তিনিই জিতবেন! সব মিলিয়ে এখন কৌতূহল মুকুলকে নিয়ে, তিনি আদৌ কোন দলে? এই নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের কথায়, মুকুল রায় একেবারে মনের কথা বলে দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে যে কার্যত বাধ্য হয়েই ওই দলে গিয়েছেন তিনি। আসলে মুকুল রায় এখনও বিজেপিতেই আছেন বলেই দাবি করছেন দিলীপ। এদিকে, পিএসির প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, পিএসি নিয়ে সরকার স্রেফ নাটক করেছে, তাঁরা তার বিরোধিতা করেছেন। এত কিছু হওয়ার পর পিএসির যে প্রথম বৈঠক হল, তাতে মুকুল রায় নেই। এটা নিয়ে তাহলে এত নাটক হচ্ছে কেন, প্রশ্ন তাঁর। এদিকে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন আনতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি৷ বারবার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছে দলীয় সাংসদরা৷ চলছে শুনানি৷ রাজনৈতিক মহলের অভিমত, দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিজেপি যাতে তাঁকে সরাসরি তৃণমূল বলতে না পারে সে কারণেই তাঁর এই কৌশলী অবস্থান৷ অর্থাৎ রাজনীতির চাণক্য আরও একবার বিচক্ষণতার সঙ্গে উত্তর দিয়ে চলেছেন৷
আরও পড়ুন- বৃষ্টি থামবে না এখনই, রাজ্যজুড়ে আরও দুর্ভোগের আশঙ্কা
মুকুল রায়ের মূল বক্তব্য ছিল, কৃষ্ণনগরে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়ালে আমিই জিতব৷ তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে, তা মানুষ ঠিক করবে৷ অন্যদিকে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভালো ফল নিয়ে আশাবাদী মুকুল৷ এমনকী তিনি এও বলেন, তাঁকে ত্রিপুরায় পাঠানো হলে তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত৷ অর্থাৎ বিধায়কের প্রশ্নে তিনি বিজেপি৷ কিন্তু সাংগঠনিক কাজের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান তৃণমূলে৷