ফুরফুরে মেজাজে দিলীপ ঘোষ, মাছ ধরলেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে

কলকাতা:  সদ্য হারের মুখ দেখেছেন … তাই বলে দমে যাওয়ার পাত্র নন দিলীপ ঘোষ। ভোট, রেজাল্ট মিটতেই মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। শনিবার, পিকনিকের মেজাজে…

কলকাতা:  সদ্য হারের মুখ দেখেছেন … তাই বলে দমে যাওয়ার পাত্র নন দিলীপ ঘোষ। ভোট, রেজাল্ট মিটতেই মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। শনিবার, পিকনিকের মেজাজে মৎস্য শিকার অভিযানে বেড়িয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির এই দাপুটে নেতা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাটের স্বরূপনগরে মাছ ধরতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে।

ভোট রাজনীতি ভুলে আপাতত মাছ ধরতে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ। বড় মাছের আশায় ছিপ ফেললেও চিংড়ি ধরেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে।

সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের ফলেও একরকম আশাহত হয়েছেন দিলীপ। জেতা আসন থেকে সরিয়ে নতুন আসনে প্রার্থী করায় দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ ছিলই। হারের পর সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে উগড়ে দিচ্ছেন নেতা।

মেদিনীপুরের দুবারের সাংসদ তিনি। গোটা এলাকা তাঁর কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। অথচ, সেই আসন থেকে সরিয়ে তাঁকে প্রার্থী করা হয় আনকোরা বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে। যদিও, দলের একনিষ্ঠ কর্মীর মত সেই আজ্ঞা পালন করেছেন। প্রচারের ময়দানে নেমে ছুটে বেড়িয়েছেন নানা প্রান্ত। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত জয় আসেনি। তৃণমূলের কীর্তি আজাদ ঝা-য়ের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে। এই হারের পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দিলীপ। ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেছেন। উইকেণ্ড অবশ্য কাটালেন ফুরফুরে মেজাজে। স্বরূপনগরের বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ঘুরে বেড়ান দিলীপ ঘোষ।

‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জন্য বরাবরই সংবাদ শিরোনামে থাকেন দিলীপ ঘোষ। হারের পরেও তার মন্তব্যের ঝাঁঝ কমেনি। শনিবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটিয়েছেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ। পোস্ট করেছেন মাত্র তিনটি শব্দ, ‘ওল্ড ইজ গোল্ড। অর্থাৎ, পুরনো জিনিস সোনার মত দামি। এই শব্দ বন্ধের মাধ্যমে কী ইঙ্গিত দিতে চাইলেন দলের পুরনো এই কর্মী? নিজে মুখে খোলসা না করলেও তার বক্তব্য, যখন পার্টির বিপর্যয় হয় তখন পিছনের দিকে তাকাতে হয়, পুরনো কর্মীদের চাঙ্গা করতে হয়।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন এই দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই রাজ্যে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। উনিশের লোকসভায় ১৮টি আসনে ফুটেছিল পদ্ম। বিধানসভাতেও আসন সংখ্যা বাড়িয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় বিজেপি। তাঁর পরবর্তীতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন সুকান্ত মজুমদার। এদিকে, দিলীপ ঘোষকে দেওয়া হয় সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ। পরে যদিও সেই পদ হাতছাড়া হয়েছে দীলিপের। আর এবার সাংসদ পদও চলে গেল…

রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজের একের পর এক মন্তব্যে নতুন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির ব্যাটন সুকান্ত-শুভেন্দু জুটির হাতে। একুশের বিধানসভা হোক বা চব্বিশের লোকসভা, বিজেপিকে কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পারেন নি দুজনে। সেই কারনেই কি বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ? উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *