কলকাতা: প্রতিবাদের নাম করে যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করাই উচিত বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কলকাতায় দলের সদর দপ্তরে আজ সাংবাদিক বৈঠকে নিজের আগের অবস্থানে অনড় থেকে দিলীপবাবু বলেন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারেরই। তার বক্তব্যের যারা সমালোচনা করছেন, তাদের আগে আত্মসমালোচনা করা উচিত বলে দিলীপবাবু মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজ্যে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নকশালদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে, বামফ্রন্ট আমলেও মরিচঝাঁপি সহ বিভিন্ন সময়ে উদ্বাস্তুদের বা তাদের কাজের বিরোধীদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলেও দার্জিলিং এ পুলিশের গুলিতে প্রতিবাদরত অবস্থায় ১১ জন গোর্খার মৃত্যু হয়েছে। তাই এখন অহিংস নীতি নিয়ে সওয়াল করলেও, কেন নিজেদের ক্ষেত্রে তারা তা প্রয়োগ করলেন না তা নিয়ে দিলীপবাবু প্রশ্ন তোলেন।
দলের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত তার বক্তব্যের বিরোধিতা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, তার বক্তব্যের সঙ্গে সবাই একমত হবেন এমন কোন কথা নেই। সংগঠনের মধ্য থেকে কেউ তার বক্তব্যের বিরোধিতা করেননি বলে তিনি জানান। এদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের খুটিনাটি সম্পর্কে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে আগামীকাল থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসম্পর্ক যাত্রা বিজেপি করবে বলে দিলীপবাবু জানান। দিলীপ ঘোষ বলেন, ১ কোটি বাড়িতে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্ণাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের বড়রা হেটে হেটে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তাই এখন ছাত্র সংগঠনকে আন্দোলন করতে বলছেন। গতকালের ধর্ণা মঞ্চে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিরও কঠোর সমালোচনা করেন দিলীপবাবু।