রাতারাতি বাড়ল দিঘায় হোটেল ভাড়া, কী পদক্ষেপ প্রশাসনের?

রাতারাতি বাড়ল দিঘায় হোটেল ভাড়া, কী পদক্ষেপ প্রশাসনের?

কলকাতা: করোনা মহামারী কিছুটা কাটিয়ে উঠে জীবন আবার আগের ছন্দে ফিরতেই ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ফের ঘরছাড়া। রাজ্যের বাইরে তো বটেই, রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও তাই নজরকাড়া ভিড়। বাদ যায়নি  দিঘাও। বাঙালির অন্যতম কাছেপিটের পর্যটনকেন্দ্র বলতে প্রথমে যে নামটি মনে আসে সেটাই হল দিঘা। ফলে সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে ইতিমধ্যেই দীঘা এবং পার্শ্ববর্তী সমুদ্রতটে নজরকাড়া ভিড়। আর এই সুযোগে পর্যটকদের পকেট কাটটে মাঠে নেমেছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, কলকাতা থেকে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা বাড়তেই দীঘা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে হোটেলের ভাড়া রাতারাতি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে কোনো ভালো হোটেলে থাকতে গেলে রীতিমতো পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের।

 সস্তার মধ্যে পুষ্টিকর পর্যটনকেন্দ্র হওয়ায় দিঘায় ৩০০ থেকে ৩০০০ সমস্ত রেটের হোটেলই রয়েছে। কিন্তু যেই একটু পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে সাথে সাথে রুমের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। দীঘায় একটু ভালো হোটেলের রুমে থাকতে গেলে এই মুহূর্তে কমপক্ষে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। অভিযোগ, সাধারন সময়ে কম টাকায় ভালো হোটেলের রুম পাওয়া গেলেও একটু ভিড় বাড়লেই রুমের ভাড়া অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। আর তাই বর্তমানে বারোশো টাকার রুমগুলির ভাড়াই বেড়ে প্রায় ২৫০০ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পর্যটকরা। এছাড়াও আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষগুলির বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, অগ্রিম বুকিং ছাড়া এই মুহূর্তে দীঘায় ভালো হোটেল রুম কার্যত অমিল। কলকাতা থেকে যে সমস্ত পর্যটকরা যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই আগের থেকে হোটেল বুক করে যাচ্ছেন। ফলে দীঘায় পৌছে হোটেল রুম খুঁজে বের করতে কার্যত কালঘাম ঝরছে পর্যটকদের।

 এমতাবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার প্রশাসন নজরদারি চালাবে এমনটাই জানালেন শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের EO। তার কথায়, ‘বর্তমান সময়ে দিঘায় প্রচুর পর্যটক আসছে। হোটেল বুকিং নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। সেগুলি আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পরিষেবা দেওয়ার জন্য একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে এবং দ্রুত সেগুলি বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এই সমস্ত অভিযোগের কথা মানতে নারাজ দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক তথা হোটেল মালিক বিপ্রদাস চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘দিঘায় বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। ফলে হোটেলের রুমে ভাড়ার তারতম্য দেখা দেয়। পর্যটকদের কাছ থেকে বেশি হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়না। দু’একজন হয়তো এই ধরনের ঘটনা ঘটায়। আমরা এসোসিয়েশন গতভাবে বিশেষ নজর রাখি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *