দিঘা: মন্দারমনির পরে এবার দিঘা। পর্যটকদের জন্যে হোটেল খুলতেই বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতা থেকে ছয় জনের একটি দল মন্দারমনিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। হোটেল খোলায় নোটিশ দেখেই তাঁরা বেরিয়ে পরেছিলেন। তাঁদের দলে একজন মহিলাও ছিল। জানা যায়, রাতে গ্রামবাসীরা হোটেল থেকে পর্যটকদের ওই দলটাকে হোটেল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য হোটেলের ম্যানেজারকে বলতে থাকেন। হোটেলের ম্যানেজার থেকে পর্যটকদের দলটা বার বার অনুরোধ করতে থাকেন রাতটুকু কাটাতে দেওয়ার জন্য। সকাল হলেই বেরিয়ে যাবেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কথা শোনেনি গ্রামবাসী। হোটেল থেকে বেরিয়ে সৈকতে রাত কাটিয়ে সকালে ফের কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর এবার দিঘাতে হোটেল বন্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করলেন গ্রামবাসীরা।
করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সারা দেশের সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘা, মন্দারমনি সৈকত শহরে হোটেল মালিকেরা পর্যটকদের জন্যে দরজা খুলে দেন। এর পরেই হোটেল মালিকদের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার বিকেলে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমনের ভয়ের আবহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে দিঘার হোটেল গুলি খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মত গতকালই খুলে দেওয়া হয় হোটেল। এক জন দুই জন করে পর্যটকেরা আসতেও শুরু করেছেন সৈকত শহরে। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার আন্দোলনে নামে এলাকার বাসিন্দারা। এর আগে মন্দারমনিতেও একই ভাবে আন্দোলনে নামে স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
এদিন হোটেল মালিকেরা দরজা খুলতেই স্থানীয় আরাধনা নারী কল্যান সমিতির নেতৃত্বে মহিলারা আন্দোলনে নামেন। হোটেলের দরজায় দরজায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মহিলাদের আন্দোলনের সামনে কয়েকটি হোটেল তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করেন। আন্দোলনকারী মহিলারা জানিয়েছেন বাহিরের থেকে আসা পর্যটকেরা দিঘায় এলে স্থানীয় বাজারে এলাকায় ঘুরবে। তার থেকে করোনা সংক্রমনের আশংকা থেকে যায়। তাই অবিলম্বে পর্যটকদের দিঘায় আসা বন্ধ করতে হবে। আগামী এক মাস দিঘা কিংবা অন্যান্য সৈকত শহর পর্যটকদের জন্যে খোলা যাবেনা বলে তাঁরা দাবী জানিয়েছেন। মহিলাদের এই আন্দোলনের বিষয়ে প্রশাসন ও হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।