দিঘা: ইয়াসের ক্ষত এখনও টাটকা। এহেন পরিস্থিতিতে জাওয়াদ ঝড়কে কেন্দ্র করে ক্রমেই আশঙ্কার মেঘ ঘন হচ্ছে দিঘার আকাশে। কারণ, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’৷ আছড়ে পড়তে পারে দিঘা সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে৷ স্বাভাবিকভাবেই কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে দিঘা জু। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছে প্রশাসনও।
শুক্রবার সকাল থেকে সৈকত নগরী দিঘা থানার পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে বারণ করা হয়েছে। আগামী তিনদিন দিঘা বেড়াতে আসা পর্যটকদের কোনওমতে সমুদ্রে স্নান করা যাবে না। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। দিঘা থানার এক পদস্থ পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘অতীতের ঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কোনও ধরণের ঝুঁকি নিতে চায় না৷ তাই এই তৎপরতা৷ সব ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে৷’’
এদিকে টানা তিনদিন হোটেল বন্দি হয়ে থাকতে হবে শুনে মন খারাপ পর্যটকদের৷ অনেকেই হোটেল ছেড়ে বাড়ি মুখো হচ্ছেন৷ বৃহস্পতিবারই দিঘা থেকে কলকাতায় গিয়েছিলেন সঞ্জয় সরকার৷ তার কথায়, ‘‘পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু এভাবে যে ফিরে আসতে হবে, সেটা ভাবতে পারিনি৷ কারণ, টানা তিনদিন হোটেলে বন্ধ হয়ে থাকতে হলে লাভ কি৷ তাই ফিরে যাচ্ছি৷’’ বাকি পর্যটকদের হোটেলের বাইরে না বেরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় সৈকত নগরীর দিঘা সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) নামানো হয়েছে। তারা উপকূলবর্তী এলাকায় রুটমার্চ শুরু করেছেন। মাইকিং করে পর্যটকদের সচেতন করছেন। মাস কয়েক আগেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল সৈকত শহর দিঘাতে৷ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাই ‘জাওয়াদ’ এর আগমনের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই বাড়তি সতর্ক প্রশাসন৷