কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় যশের ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু তার প্রভাব রয়ে গিয়েছে৷ যশের প্রভাবে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি৷ নামখানা, কাকদ্বীপ থেকে সন্দেশখালি বা ধামাখালিতে বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গলের ভয়াল রূপ৷ কেউ কেউ নিরাপদ স্থানে উঠে আসতে পেরেছেন, কেউ আবার আটকে পড়েছেন৷ সব মিলিয়ে চারিদিকে আর্তনাদ৷
আরও পড়ুন- এবার কলকাতায় টর্নেডো সতর্কতা, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
বিদ্যাধরী ও কলাগাছি নদীর দলে প্লাবিত ধামাখালির পথ৷ সন্দেশখালির সঙ্গে সরবেড়িয়ার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ প্রচুর গ্রামবাসী আটকে পড়েছেন৷ এনডিআরএফ-এর জওয়ানরা দড়ি বেঁধে গ্রামের ভিতরে ঢোকার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন৷ শুরু হয়েছে গ্রামবাসীদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া৷ তাঁরা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন৷
এদিকে মন্দারমণিতে উড়ে গেল রিসর্টের চাল৷ সমুদ্রের জল ঢুকে গেল হোটেলের একতলায়৷ উদয়পুরে যে দিকে চোখ যাচ্ছে, সেখানেই ধ্বংসাবশেষ৷ উদয়পুর সৈকতে হেলে গেল ওয়াচ টাওয়ার৷ সমস্ত নৌকা ভেসে চলে গিয়েছে৷ ভেঙে পড়েছে দোকান ঘর৷ গোটা দীঘা চলে গিয়েছে জলের তলায়৷ অন্যদিকে ফুঁসছে হলদি নদী৷ প্লাবিত একাধিক গ্রাম৷