দিঘা: সৈকত নগরী দিঘায় সমুদ্রের জলোচ্ছাসে আনন্দ নিতে এসে কার্যত নিরানন্দে পরিণত হল হাওড়ায় বেড়াতে আসা সাতজন পর্যটক যুবকের। থানা হাজতে কাটাতে হল বেড়াতে আসা সাতজন পর্যটককে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিঘা থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হল মহম্মদ সাব্বির আলম, বিশ্বজিৎ সাহু, শচীন সামন্ত, পিন্টু দাস, সুমন দাস, দেবাশীষ মণ্ডল ও উজাল পোলে। প্রত্যেকের বাড়ী হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে একদল পর্যটক সৈকত নগরীর দিঘায় বেড়াতে আসেন। এরপর তারা বেসরকারি হোটেলে ওঠেন। বুধবার বিকেলে সমুদ্র স্নানে নেমে ছিলেন বেড়াতে আসা হাওড়া সাতজন পর্যটক। সুদূর হুগলি থেকে বেড়াতে এসেছিলেন এক মহিলা পর্যটক সহ তার পরিবারের সদস্যরা। তারাও নিউ দীঘা হলিডে হোম স্নানে নেমে ছিলেন। সমুদ্রে স্নান করার সময় হাওড়া সাতজন পর্যটক হুগলি থেকে বেড়াতে আসা মহিলা পর্যটককে ইভটিজিং করে ও অশ্লীল ইঙ্গিত করে বলে অভিযোগ৷ বারবার বারণ করলেও বেড়াতে আসা পর্যটকরা কোনমতেই শোনেননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ওই মহিলা পর্যটক দিঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বেড়াতে আসা পর্যটকদের গ্রেফতার করে।
দিঘা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজন পর্যটককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাঁথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷’’ যদিও গ্রেফতার সাত পর্ষটকের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী হুগলি থেকে বেড়াতে আসা মহিলা পর্যটক বলেন, ” নিউ দিঘার হলিডে হোম স্নানে নেমেছিলাম সপরিবারে। তখনই সাতজন পর্যটক অশ্লীল ইঙ্গিত করেন। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রথমে বারণ করলেও কোনওমতেই শোনেননি ওই পর্যটকেরা। বাধ্য হয়ে দিঘা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়৷’’