তারকেশ্বর: বাংলাকে পাখির চোখ করে ফের ভোট প্রচারে নমো৷ শনিবার তারকেশ্বরের জনসভা থেকে সিঙ্গুর নিয়ে বার্তা দিলেন তিনি৷ সেই সঙ্গে খোঁচা দিলেন মমতাকে৷ এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মধ্যে একটা মিষ্টত্ব রয়েছে৷ বাংলার মিষ্টি আর মিষ্টি দইয়ের কোনও তুলনাই হয় না৷ তাহলে এত তিক্ততা কোথা থেকে আনেন দিদি?
আরও পড়ুন- ‘দিদি এবার পরাজয় স্বীকার করে নিন’, চরম কটাক্ষ মোদীর
মোদী আরও বলেন, বাংলার ভবিষ্যতের সঙ্গে আপনাকে অন্যায় করতে দেব না৷ আসলে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে উনি চিন্তায় আছেন৷ রাজ্যে শিল্প বন্ধ, নতুন শিল্প আসার পথ বন্ধ৷ নতুন বিনিয়োগ, ব্যবসা, চাকরির সম্ভাবনা বন্ধ৷ এক সময়ে যে বাংলায় মানুষ কাজ করতে আসত, আজ সেই বাংলার ছেলে মেয়েরা চাকরির খোঁজে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে৷ আমরা জানি দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হয়৷ কিন্তু তৃণমূল সমস্যাকেই রোজগারের পন্থা করে নিয়েছে৷ বারবার ঘূণিঝড়ে বিপর্যস্ত হতে হয় বাংলাকে৷ এখানে প্রকৃতির ধ্বংসলীলা চলে৷ গরিবের ঘর মাটিতে মিশে যায়৷ কিন্তু তৃণমূলের তোলাবাজদের গাড়ি আর বাড়ির সাইজ বেড়ে যায়৷ তৃণমূল বংলার মানুষের কাছে বিপদ৷
আরও পড়ুন- সারদাকাণ্ডে এবার কুণাল ঘোষ ও শতাব্দী রায়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED
তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দেবে৷ বিকাশের জন্য, যে কোনও ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য রাজনীতির ইচ্ছাশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু বাংলার শিল্প-বিনোয়োগের পথ রুখে গর্ব করছে তৃণমূল সরকার৷ সিঙ্গুরের মানুষের সঙ্গে উনি প্রতারণা করেছেন৷ সিঙ্গুর থেকে রাজনীতির ফায়দা লুঠে এখানকার মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন৷ আজ সিঙ্গুরে না শিল্প আছে, না চাকরি৷ এখানকার মানুষদের দিদি ঠকিয়েছেন৷ কৃষকরাও উদ্বেগে রয়েছে৷ হুগলীতে বিপুল সংখ্যক আলু নষ্ট হয় শুধুমাত্র দিদি এখানে কোল্ডস্টোরেজ তৈরি করেনি বলেন৷ যে কটি কোল্ট স্টোরেজ রয়েছে সেগুলিও সিন্ডিকেট চালাচ্ছে৷ আলু চাষীরা কম দামে ফসল বেচছে৷ বিজেপি সরকার গড়ার পর কোল্ড স্টোরেজ তৈরির পাশাপাশি ফুড প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো হবে৷ বিজেপি’র মুখ্যমন্ত্রী যে দিন শপথ নেবেন, যেদিন আমি নিশ্চয় আসব৷