তৃণমূলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিব্যেন্দু অধিকারীর! দলবদল কি তবে চূড়ান্ত?

কিছুদিন আগেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করেছে রাজ্য সরকার।

bb780764cef66bd08829ff5975c851ad

কাঁথি: কিছুদিন আগেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করেছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। এবার এই অপসারণ নিয়ে মুখ খুলে ‘বেসুরো’ হলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। এই অপসারণের সিদ্ধান্তকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি, তোপ দেগেছেন রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন দফতরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরেই রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি এবার ধীরে ধীরে পদ্ম শিবিরের দিকে পা বাড়াচ্ছেন দিব্যেন্দু? 

অপসারণের পর সেই নির্দেশিকার আইনি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবার এই ঘটনায় ভাই সৌমেন্দু পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কে চ্যালেঞ্জ করলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। মূলত যাকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে তাঁকে নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি কাউন্সিলরই নন, তাকে কিভাবে প্রশাসক পদে বসানো যায়। উল্লেখ্য সৌমেন্দু অধিকারীর বদলে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির ঘনিষ্ঠ সিদ্ধার্থ মাইতিকে। দিব্যেন্দুর স্পষ্ট কথা, সৌমেন্দুকে নিয়ে যদি কোন সমস্যা থাকে থাকে, তাহলে তাঁকে প্রশাসক পদে বসানো যেত কারণ সে নিজে কাউন্সিলর। কিন্তু সেটা না করে রাজ্য সরকার এমন একজনকে প্রশাসক পদে নিয়োগ করেছে যে কাউন্সিলর নয়। এতেই বাড়ছে ক্ষোভ। 

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর কাঁথিতে যে সভা করেছিলে তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে অধিকারী পরিবারের কাউকেই দেখা যায়নি। এদিকে সবার মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, কাঁথিতে কোনো একটা পরিবারের দখল নেই। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছেন তিনি তাঁর বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন! এই আবহের মধ্যে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পর থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারিত করল রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে এখন বেশ উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি বঙ্গ রাজনীতিতে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *