‘জাতীয় ফুল পদ্ম, কেউ উপড়াতে পারবে না’, সাফ জানালেন দিব্যেন্দু

অধিকারী পরিবারে পুরোদমে জাতীয় ফুলের চাষ হতে আর দেরি নেই

কাঁথি: বুধবার মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় আমন্ত্রণ সত্ত্বেও যাননি তিনি, আর বঙ্গ ভোটের রঙ্গমঞ্চে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে দেদার চর্চা। দিব্যেন্দু অধিকারীর বদলে গতকাল বিজেপির সভায় হাজির হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা। এ কোন রাজনৈতিক চালের ইঙ্গিত? জল্পনার মাঝেই পদ্ম ফুল নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অধিকারী পরিবারের সেজো ছেলে।

পদ্ম হল দেশের জাতীয় ফুল, আর তাই তাকে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কারোর নেই, এদিন সাংবাদিকদের সামনে এমনটাই জানালেন দিব্যেন্দু অধিকারী। নরেন্দ্র মোদীর সভায় না গেলেও যে তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সম্ভাবনা কিছুমাত্র কমেনি, এদিনের মন্তব্য থেকে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। খাতায় কলমে এখনও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর দাদা শুভেন্দু অধিকারী এবং বাবা শিশির অধিকারী, দুজনেই পাড়ি দিয়েছেন পদ্ম বাগানে। মেদিনীপুরে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে পুরোদমে জাতীয় ফুলের চাষ হতে আর বেশি দেরি নেই, বলাই বাহুল্য।

বস্তুত গতকাল মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বিজেপির তরফ থেকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল দিব্যেন্দু অধিকারীকে। জল্পনা ছিল গতকালই দাদ আর বাবার পথে হেঁটে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেবেন তিনি। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে মোদীর সভায় যান স্ত্রী সুতপা অধিকারী। কেন গেরুয়া সভায় গেলেন না দিব্যেন্দু? স্পষ্ট করে অবশ্য তার উত্তর দেননি তমলুকের সাংসদ। অধিকারী পরিবারে এবার থেকে একমাত্র পদ্মের চাষই হবে কিনা তার জবাবে তিনি বলেন, “দু-একদিনের মধ্যে সব জানতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, সাংসদ পথ থেকে ইস্তফা না দিয়েই দিন দুয়েক আগে গেরুয়া হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। যার জন্য বর্ষীয়ান এই নেতার সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করেছে ঘাসফুল শিবির। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মতে তা এড়াতেই খাতায় কলমে এখনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না দিব্যেন্দু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − ten =