কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর তাঁর পরিবার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রথম থেকেই। বেশির ভাগের অনুমান আর হয়তো বেশি দিন নয়, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে একে একে বিজেপিতে যোগ দেবেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের সব রাজনৈতিক সদস্য। এককথায় গোটা অধিকারী পরিবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম ধরবে। ক্রমশ সেই জল্পনা সত্যি হবার মুখে। কারণ এবার একদিনে আট প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর তৃণমূলের তরফে থাকে একহাত নিয়ে বলা হয়েছিল, তাঁর বাড়িতেই তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে আর তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। সেই প্রেক্ষিতে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন তিনি নিজের বাড়িতে তো পদ্ম ফোটাবেনই, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ফোটাবেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে কাঁথি পুরসভার অপসারিত প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। কিছুদিনের মধ্যে শিশির অধিকারীও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার নতুনভাবে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। জানা যাচ্ছে, এ দিন একসঙ্গে আটটি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর মনোনীত সরকারি প্রতিনিধির পদও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, হলদিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে কর্মসূচি রয়েছে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিব্যেন্দু অধিকারীকে। সে নিয়ে একপ্রকার জল্পনা ছিলই, তার মধ্যে এবার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেই জল্পনায় আরো জোরালো করলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সাফ করে দেবেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এখন পরিস্থিতি এমন দিকে এগোচ্ছে যে অনুমান করা হচ্ছে অধিকারী পরিবারের সকলেই হয়তো নির্বাচনের আগেই পুরোপুরি দলবদল করে ফেলতে পারেন। এখন দিব্যেন্দু অধিকারীর একদিনে আর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনা সেই সম্ভাবনার সত্যি হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।