কলকাতা: তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের আরও এক পদ্ম ফুটল? জল্পনা যে দিকে গড়াচ্ছে তাদের অনুমান করা খুব একটা কঠিন নয়। সূত্রের খবর চলতি মাসেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাহলে কি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে একেবারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি? তাহলে কি অধিকারী পরিবারের আরো একজন ধরতে চলেছেন পদ্ম? এখন আরও প্রবল হল জল্পনা।
জানা গিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টে নাগাদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করার আবেদন করেছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। সেই আবেদন মেনেই সেদিন তাঁর জন্য সময় দিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, যেদিন লোকসভা স্পিকারের সঙ্গে দেখা করবেন দিব্যেন্দু অধিকারী তার ঠিক তিনদিন আগে অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়া আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। যদিও এই আমন্ত্রণের ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ সরকারি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র, তারি প্রটোকল মিনি তিনি হাজির থাকবেন সেখানে। তাই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হাজির থাকার পরেই তিনি লোকসভা স্পিকারের সঙ্গে দেখা করবেন, এই বিষয় সামনে আসতেই ঘোর জল্পনা। তবে এর মধ্যেও বিতর্কিত বিষয় হল, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর নাকি দিব্যেন্দু অধিকারীর কাছে হুমকি আসছে একের পর এক। তিনি যদি হলদিয়া ঢোকেন তাহলে বিপদ হবে, এই কথা বলে নাকি তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ঘাসফুল শিবির ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে অধিকারী পরিবার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘাসফুল শিবির ছেড়ে দিয়েছেন। এবার অনেকেরই ধারণা দিব্যেন্দু অধিকারি এবং শিশির অধিকারীও হয়তো বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কারণ দলবদল করার পর শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন তিনি নিজের ঘরেও পদ্ম ফোটাবেন আবার বাংলার ঘরে ঘরেও। সেই প্রেক্ষিতে নিজের ঘরে তিনি ইতিমধ্যে পদ্ম ফুটিয়ে ফেলেছেন। এখন দেখা যাক দিব্যেন্দু অধিকারী ভবিষ্যতে ঘাসফুল শিবিরে থাকেন নাকি তাকেও পদ্ম ধরতে দেখা যায়।