কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি শিবিরে নাম লেখানোর পরেই কাঁথির অধিকারী পরিবার নিয়ে চর্চা চলছে। ভরা জনসভায় শুভেন্দু মন্তব্য করেছিলেন যে নিজের বাড়িতেও তিনি পদ্ম ফোটাবেন। পরে সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। অধিকারী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর কম হয়নি কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একাধিকবার আক্রমণ করা হয়েছে তাদের। এখন সমস্ত জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শিশির অধিকারী। কারণ শুভেন্দু নিজে স্পষ্ট করেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকবেন। এর আগে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন আমন্ত্রণ করতেও। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী একাধিক মন্তব্য তো রয়েছেই। এবার শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারির মন্তব্যে শোরগোল নতুন করে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি থেকে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন যোগদানের জন্য। যদিও এই ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে স্পষ্ট করেছেন দিব্যেন্দু।
বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে তাঁকে দলে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে ভবিষ্যতে নেবেন কিনা সে ব্যাপারেও আলাদাভাবে কোনো মন্তব্য করেননি দিব্যেন্দু। যদিও নন্দীগ্রামের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর ওপর নন্দীগ্রামের মানুষের ভরসা আছে এবং তারা যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী আবেগের বশে নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শেষ কথা বলবে নন্দীগ্রামের জনগণ। দিব্যেন্দু অধিকারির মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুনজর থেকে অনেকটাই দূরে রয়ে গেছেন। তাই আগামীদিনে তিনি যদি বিজেপিতে যোগদান করেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর এখন তো বাবা শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করা হয়তো সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন- সিংহের খাঁচায় ঢুকে জখম ব্যক্তি! ফের প্রশ্নের মুখে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা
এই পরিস্থিতির মধ্যে আবার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায় দিব্যেন্দু অধিকারীকে। নন্দীগ্রামের সাউথখালীতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি এবং সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি সহ একাধিক নেতা। একসঙ্গে খোল বাজাতে দেখা যায় তাদের। যদিও এই প্রেক্ষিতে দিব্যেন্দু মন্তব্য করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। এটা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাই সবাই একসঙ্গে রয়েছে। তবে এই অনুষ্ঠানের পরে বিজেপিতে তাঁর যোগদানের খবর সামনে আশায় স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।