কলকাতা: দলবদলের আবহে এখন বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিগত কয়েকদিনে শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক নেতা এবং মন্ত্রী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আজও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এবার নতুনভাবে জল্পনা তৈরি করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। এদিন দুপুরে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য আবু তাহের।
সূত্রের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকি দুজনের বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয়েছে। তবে ঠিক কি নিয়ে এই বৈঠক তার ব্যাপারে এখনও জানা যায়নি। তবে এই বৈঠকের পর স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে যে, ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন কিনা। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন এই জেলার সভাপতি ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে অনেকের সম্পর্কে খুব ভালো ছিল। তাই এখন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়কের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভ্রমণ স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা সৃষ্টি করছে। যদিও এই সাক্ষাৎ নিয়ে তাকে বাড়ি সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন দীপক হালদার। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি, অনেকদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি বলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবুও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঠিক কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে কিছুই বলতে চাননি ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক।
উল্লেখ্য, বিজেপি শিবিরেই এখন বেশ চাপে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শহরে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিজেপির তরফে একটি মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যাশ্চর্য ভাবে সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না দুজনের কেউই। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি ব্রিগেড। এই পরিস্থিতির মাঝেই এদিন ক্ষমা চেয়ে নিবেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, শরীর প্রচন্ড খারাপ থাকায় তিনি মিছিলে যেতে পারেননি, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁকে একা রেখে মিছিলে যেতে পারেননি।