বেহাল রাস্তায় থমকে উন্নয়ন! পঞ্চায়েতে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

বেহাল রাস্তায় থমকে উন্নয়ন! পঞ্চায়েতে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গ্রামের প্রধান সড়কের হাল দেখলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ার জোগাড়। অথচ এই রাস্তা ধরে দিনে রাতে গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বাইরের দুনিয়ার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের ২ নম্বর করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে উত্তর করঞ্জি হাটখোলা অবধি রাস্তার হাল এরকমই।

মাটির কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে রাতবিরেতে প্রসূতি নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। গ্রামের কচিকাঁচা থেকে সব বয়সের মানুষের প্রধান সমস্যা এই রাস্তা। গ্রামবাসীদের দাবি প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রাস্তার যন্ত্রণা সহ্য করছেন এলাকার। ভোট আসে ভোট যায়, সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতিরও আসা যাওয়া লেগে থাকে। কিন্তু কাজের কাজ হয় না, আর পাকা হয় না রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে এই বঞ্চনায় বীতশ্রদ্ধ গ্রামবাসীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এই রাস্তার দাবিতে। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে এই বিক্ষোভ।
 

এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস অথচ গ্রামের রাস্তা সাইকেল কিংবা রিকশা তো দূরে থাক হাঁটারও যোগ্য নয়। পঞ্চায়েতের গেটে গ্রামবাসীরা তালা লাগিয়ে দেওয়ায় ভিতরে আটকে পড়েন পঞ্চায়েত কর্মীরা। গ্রামের মানুষ কোনও কথা শুনতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসেন কুশমণ্ডি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোহম চৌধুরী। গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আশ্বাস মেলায় ওঠে বিক্ষোভ।
 

রাস্তার এই হাল দীর্ঘদিন সহ্য করতে করতে ধৈর্য হারিয়ে গ্রামবাসীরা শেষ পর্যন্ত আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে এতগুলো বছর কেটে গেলেও সরকারের পর সরকারে বদল এলেও গ্রামের এই রাস্তার চেহারায় কেন বদল এলো না। তবে প্রতিশ্রুতি কী শুধুই ভোটের জন্যই, তার কী বাস্তব রূপায়ন সম্ভব নয়? গ্রামবাসীদের এই প্রশ্নের উত্তর আদৌ মিলবে কিনা তা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =