কলকাতা: কসবায় জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের একের পর এক কীর্তি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। নিজেকে আইএএস পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে নানান কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি। সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর সৌজন্যে দেবাঞ্জনের পর্দাফাঁস হতে শুরু করেছে। এর আগে দেবাঞ্জন অভিনেত্রী বিধায়ক লাভলি মৈত্রের সঙ্গে মাস্ক বিতরণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায়দের সঙ্গে একই ফলকে নাম দেখা গেল দেবাঞ্জনের৷ আর তাতেই হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতি৷
শুধুমাত্র মিমি চক্রবর্তীই নয়, এর আগে দেবাঞ্জনের প্রতারণার শিকার হন তালতলার ত্রিপুরা শঙ্করসেন শাস্ত্রী স্মৃতি গ্রন্থাগারের সদস্যরা। ফেব্রুয়ারিতে তালতলার শীতলা মন্দিরের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তি উন্মোচন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায়, অতীন ঘোষের মতন হেভিওয়েটেরা। ফলকে উল্লেখ করা আছে, মূর্তি উন্মোচন করেন স্বয়ং ফিরহাদ হাকিম। সেই ফলকেই নাম রয়েছে দেবাঞ্জনের, তাও আবার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে।
ফলকে দেবাঞ্জনকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মঞ্চে উপস্থিত বাকিদের সাথে বক্তৃতাও দেন তিনি। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আয়োজকরা জানান, দেবাঞ্জন নিজেকে এভাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন। গোটা ঘটনা প্রকাশে আসার পর নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে থামায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ বাকি নেতা-মন্ত্রীরা দেবাঞ্জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷
দেবাঞ্জনের ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই সেই ফলক থেকে তাঁর নাম কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আর কোথায় কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন এই ভুয়ো আইএএস তা জানতেই এখন আগ্রহী সকলে।