কলকাতা: দেবাঞ্জন অধ্যায়ের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে চমক৷ এবার উঠে এল আরও এক প্রতারণার গল্প৷ জানা গিয়েছে, শুধু মাস্ক-স্যানিটাইজার নয়, করোনার ওষুধও সংগ্রহ করতেন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেব৷ শুক্রবার ট্যাংরার এক ওষুধ ব্যবসায়ী কসবা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ তাঁর অভিযোগ, করোনার ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ বাবদ দেবাঞ্জনের কাছে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা পাওয়া রয়েছে তাঁর৷
আরও পড়ুন- ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে দেবাঞ্জন, যুক্ত হল খুনের চেষ্টার ধারা
২০২০ সালে তালতলায় একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হয় দেবাঞ্জনের৷ সেই সময় নিজেকে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক বলে পরিচয় দেয় দেবাঞ্জন৷ কলকাতা পুরসভার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে দু-দু’বার তাঁকে চেক দেয় বলেও ওই ব্যবসায়ীর দাবি৷ তিনি জানান, কলকাতা পুরসভার টেন্ডার ও জিএসটি নম্বর দেখার পরেই দেবাঞ্জনকে মালপত্র সরবরাহ করেছিলেন তিনি। কিছু টাকা মেটালেও এখনো ২৬ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে।শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার জাল হলগ্রামও তৈরি করেছিলেন দেবাঞ্জন দেব৷ ৯ নম্বর ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ প্লেসের একটি সংস্থা থেকে ওই লেজার হলগ্রাম তৈরি করার তিনি৷ ব্যবসায়ী নির্মল পুগালিয়ার দাবি, ২০২০ সালে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে পার্চেস অর্ডার দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩ হাজার পিস হলগ্রাম নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন৷ চেকের মাধ্যমে ওই টাকা দেওয়া হয় বলে দাবি৷
আরও পড়ুন- ‘কিছু মানুষ প্রতারিত হওয়ার অর্থ গোটা সিস্টেমটাই খারাপ নয়’, ভুয়ো টিকা কাণ্ডে মন্তব্য ফিরহাদের
এদিকে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে যুক্ত করা হয়েছে খুনের চেষ্টার ধারা৷ পাশাপাশি ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত৷ শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত তিন অভিযুক্তকে৷ বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৩৬০ ধারা বা খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল৷ পুলিশের সেই আবেদন মঞ্জুর করে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হল৷