লকডাউন উপেক্ষা করে বাংলার মসজিদে জমায়েত! চোখ রাঙাচ্ছে করোনা!

লকডাউন উপেক্ষা করে বাংলার মসজিদে জমায়েত! চোখ রাঙাচ্ছে করোনা!

বহরমপুর: দিল্লির নিজামুদ্দিনের স্মৃতি উসকে দিল বাংলার মুর্শিদাবাদ৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুর্শিদাবাদের একটি মসজিদের ভিডিও দেখে চক্ষু চড়কগাছ৷ পরিস্থিতি দেখে হাড় হিম পুলিশ প্রশাসনের৷ ওই একই ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়া টুডের ফেবসুক পেজে৷ যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আজ বিকেল.কম৷ 

করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন৷  প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে বারবার সচেতন করা হচ্ছে৷ ‘সোশ্যাল ডিস্টেনসিং’ বা ‘সামাজিক দূরত্ব’ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় দাওয়াই হল ‘সামাজিক দূরত্ব’৷ কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই সরকারি নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুর্শিদাবাদের ওই মসজিদে করা হল ধর্মীয় সমাবেশ৷ যোগ দিল কয়েকশো মানুষ৷ খবর পেয়েই অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ তড়িঘড়ি খালি করে দেওয়া হয় মসজিদ প্রাঙ্গন৷  

ওই ভিডিওতে যে ছবি ধরা পড়েছে, তা রীতি মতো আতঙ্কের৷ দেখা গিয়েছে, মসজিদে উপস্থিত কোনও মানুষের মুখে মাস্ক নেই৷ তাঁরা প্রায় সকলেই একে অপরের গাঁ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ গোটা মসজিদে লোক গিজগিজ করছে৷ এই ঘটনার পর বাংলাকের বুকেও মাথাচারা দিচ্ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা৷ মুর্শিদাবাদের ঘটনা বাংলার করোনা বিরোধী লড়াইকে নতুন করে চ্যালেঞ্জারে মুখে দাঁড় করিয়ে দিল না তো? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে৷

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লর নজামুদ্দিনের এক মসজিদে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তবলিঘি জামাত। তাতে দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। দেশজুড়ে লকডাউন শুরুর আগেই দক্ষিণ ভারত থেকে আসা প্রায় ১২০০ জনকে দিল্লি বিমানবন্দরে ছেড়ে আসা হয়েছিল৷ কিন্তু পুলিশ পরে জানতে পারে, গোটা দলটাই নিজামুদ্দিনে ফিরে আসে।  ওই দলটি-সহ প্রায় ২০০০ জন গাদাগাদি করে ছ’তলার একটি ডর্মিটরিতে ছিল৷ পরে তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়৷ তাঁদের মধ্য অনেকেরই করোনার রিপোর্ট পজেটিভ৷ 

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো জানিয়েছে, আগামী দিনে লকডাউনের সময়ে কোনও ধর্মীয় জমায়েত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই মুর্শিদাবাদে চলল সমাবেশ৷ তবে ঠিক কতজন ওই মসজিদে জমা হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠির তথ্য মেলেনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *