কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বৈঠক করলেও এখনও পর্যন্ত সেই প্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর বর্তমানে ঘাসফুল শিবিরের যে অবস্থান তাতে ভোটের ভবিষ্যত্ আদৌ আছে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে মমতা বাহিনী। এদিন আবার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন স্পষ্ট জানালেন যে কংগ্রেসের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন! কেন এমন বললেন তিনি?
কংগ্রেস যে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে আসছে সেই অভিযোগ আগেই তুলেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে বিরোধী জোট শক্ত করার বার্তাও তারা পাশাপাশি দিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষিতেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, কংগ্রেসের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। বিরোধী ঐক্য মজবুত হলেই বিজেপিকে হারানো সম্ভব বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ঘাসফুল শিবির থেকে আরও দাবি করা হচ্ছে, বারংবার জোটের প্রসঙ্গ উঠেছে কিন্তু কংগ্রেস নিজে এগিয়ে আসতে পারেনি। তাই সেই ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ডেরেকের স্পষ্ট কথা, সব বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক এবং সর্বভারতীয় দলকে একজোট হতে হবে। সেটা না হলে আগামী দিনে বিজেপিকে পরাস্ত করা যাবে না। কিন্তু কংগ্রেস এই ব্যাপারটা এখনও বুঝতে পারছে না বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কিছুদিন আগে প্রশান্ত কিশোর নিজেও এই একই কথা বলেছেন কার্যত। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে আদতে কী করতে হবে তা এখনো বুঝতে পারছে না কংগ্রেস। এইভাবে চলতে থাকলে নরেন্দ্র মোদী হেরে গেলেও বিজেপি আগামী কয়েক দশক টিকে যাবে ভারতবর্ষে বলে জানান প্রশান্ত।
যদিও কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস যে মুছে গেছে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এখনো পর্যন্ত তারা মনে করছে যে ভারত মানেই কংগ্রেস এবং কংগ্রেস মানেই ভারত।