চন্দননগর: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যু হল চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়৷ গত কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন৷ চন্দননগরের শ্রমজীবী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি৷ আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়৷
কত কয়েকদিন ধরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জ্বরে ভুগছিলেন৷ করোনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ দমদম লিচুবাগানের বাসিন্দা সোমদত্তা রায়৷ তাঁকে রবিবার চন্দননগরের শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি হয়৷ সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়৷ মাত্র ৩৮ বছরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের মৃত্যুতে প্রশাসনিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ বাড়িতে তাঁর চার বছরের বছরের সন্তান রয়েছে৷
গত কয়েকদিন আগে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও তাঁর স্বামী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ বারাকপুরের বাড়ি থেকেই তাঁদের চিকিৎসা চলছিল৷ অবস্থা বাড়াবাড়ি হওয়ার সোমদত্তা রায়কে এমআর বাঙুরে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার, হুগলির শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রবিবার৷ সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়৷
জানা গিয়েছে, সোমদত্তা পুরুলিয়া ২ ব্লকের বিডিও ছিলেন৷ সেখান থেকে তিনি চন্দননগরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে এসেছিলেন৷ যে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাঁরা ডানকুনিতে এসেছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা ও খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ পরে তিনি কোনও ভাবে করোনায় আক্রান্ত হন৷ পরিবারের পাশাপাশি তাঁর দফতরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ হুগলির জেলা শাসক রত্না রাও জানিয়েছেন, এমন সহকর্মীকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত৷ তাঁর ৪ বছরের শিশু রয়েছে৷ কিছু বোঝার আগে শিশুটি তাঁর মাকে হারাল৷