কলকাতা: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত৷ লকডাউনে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অনলাইন পরিষেবা৷ কিন্তু এরই মধ্যে অভিযোগ, তথ্যমিত্র কেন্দ্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পোর্টালও চালু নেই এ রাজ্যে৷
আরও পড়ুন- গুগুলের সমতুল্য ড্রাইভ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন ব্যারাকপুরে ইঞ্জিনিয়ার
অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি জায়গা থেকে CSC VLE (তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সঞ্চালক) দের উৎখাত করা হচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নাম করে কেন্দ্রের শাসক দলের হয়ে প্রচারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ কমিশনের নামে অতিরিক্ত টাকা কাটা হচ্ছে৷ নতুন প্রজেক্ট চালুর আগে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে না৷ এর প্রতিবাদেই সোচ্চার হয়েছেন তথ্য মিত্র কেন্দ্রের সঞ্চালকরা৷ তৈরি হয়েছে ALL BENGAL CSC VLE UNION(ABCVU)। বুধবার ABCVU-এর ডাকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এই সঞ্চালকরা৷ পঞ্চায়েত দফতরে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং লালকেল্লা থেকে ‘কমন সার্ভিসেস সেন্টার স্কিম’ চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ বলা হয়েছিল, যুবক যুবতীরা আবেদন করলে তাঁদের ১৫০ স্কোয়ারফুট জায়গা দেওয়া হবে৷ সেখানে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে৷ ২০১৪ সালের পর ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে এই কেন্দ্রগুলি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ এ রাজ্যে ৩৭ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টার খোলা হয়৷ ২০২০ সালে তৃণমূল সরকার জানায়, রাজ্য বংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করবে৷ এর ভিত্তিতে কিছু সেন্টার চালু করাও হয়েছে৷ কিন্তু পুরনো তথ্য মিত্র কেন্দ্রগুলিতে আর রাজ্য সরকারের প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- শুক্রবার থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা, কমছে সময়ের ব্যবধান
এবিসিইউভি-র দাবি, তথ্যমিত্র সঞ্চালকদের সমস্ত দফতরের কাজ, মাসিক ভাতা, সামাজিক সুরক্ষা এবং গাইডলাইন মেনে সরকারি ১৫০ বর্গফুট জায়গা, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে হবে৷ এছাড়াও তথ্যমিত্র কেন্দ্রে ই-ডিসট্রিক্ট-এর কাজ, স্থায়ী আধার সেবা কেন্দ্র, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিএফ-বিসি, ভোটার আইডি কার্ড, রেশন কার্ডের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চালু করতে হবে৷ পাশাপাশি আরও বেশ কিছু দাবি জানানো হয়েছে তথ্যমিত্র সঞ্চালকদের পক্ষ থেকে৷