কলকাতা: একটি পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা চৌধুরী ইসমত কামাল৷ ২০১৫ সালের ৫ মে চিকিৎসকরা তাঁকে পর্মানেন্ট ডেসএবল বলে ঘোষণা করেন৷ তিনি ছিলেন তিলুটিয়ইয়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক৷ তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ার পর সরকারি নিয়ম মেনে বাবার কর্মস্থলে আবেদন করেন তাঁর পুত্র চৌধুরী মৌসুফ কামাল৷ কিন্তু গত পাঁচ বছরেরও চাকরি জোটেনি তাঁর৷ অসহায় হয়েই তিনি আজবিকেল ডট কমের কাছে ইমেল পাঠিয়ে তাঁর অসহায় অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন৷
আরও পড়ুন- ‘চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছে অভিষেক’! বিস্ফোরক অভিযোগ সৌমিত্রর
চৌধুরী মৌসুফ কামাল জানান, ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক পদে নিযুক্ত ছিলেন তাঁর বাবা চৌধুরী ইসমত কামাল৷ বাবা অক্ষম হয়ে পড়ার পর চাকরির আবেদন জানান মৌসুফ৷ কিন্তু তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও টেট উত্তীর্ণ না হওয়ায় তাঁকে করণিকের পদে আবেদন করার সুপারিশ করা হয়৷ সেই মতো করণিক পদেই আবেদন করেন তিনি৷ কিন্তু ফিনান্সিয়াল গ্রাউন্ডে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়৷ মৌসুফের দাবি, তাঁর মতো ফাইনানসিয়াল অনেকেই রয়েছেন যাঁরা এখন চাকরি করছেন৷ কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে৷ চাকরির আর্জি জানিয়ে দফতরে দফতরে ঘুরেই কোনও লাভ হয়নি৷ ‘দিদিকে বলো’-তেও ফেন করেছিলেন তিনি৷ অনেক বার ইমেলও পাঠিয়েছেন৷ চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে৷ বিকাশ ভবন ও নবান্নতে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েও সারাহা পাননি৷ আর্থিক দিক থেকে তিনি খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান মৌসুফ৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি তাঁর এই বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন৷ যাতে তাঁর আওয়াজ মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে পৌঁছয় এবং তাঁর পরিবারকে আর্থিক দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন৷
আরও পড়ুন- চোর সন্দেহে ফের গণপিটুনি, পোস্টে বেঁধে বেদম মার জনতার
মৌসুফ জানান লকডাউনের মধ্যে আরও বেশি করে সঙ্কটে পড়েছে তাঁর পরিবার৷ সংসার চালানো দায় হয়ে উঠেছে৷ এই করুন পরিস্থিতির মধ্যে একটা চাকরি তাঁর পরিবারকে বাঁচাতে পারে৷ তাঁর দুর্দশার কথা বিচার করে চাকরির বন্দোবস্ত করার আর্জি জানিয়েছেন মৌসুফ৷