কলকাতা: একদিকে করোনা, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত এখনও দগদগে৷ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না এলেও ফের বাংলার আকাশের দুর্যোগের ঘনঘটা৷ ফের বঙ্গে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দেখা গিয়েছে৷ আত তাতেই বাড়ছে বিপদ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের পূর্বভাগে তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ৷ আগামী সোমবার ওই নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আর তার জেরে আগামী বুধবার থেকে ওডিশা সংলগ্ন এলাকায় প্রবল বর্ষণের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷ এর প্রভাব পড়তে পারে ওড়িশা-বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দু’এক জায়গায় আজ বিকেল থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে মিলেছে পূর্বভাস৷
বঙ্গোপসাগরে উপর নিম্নচাপ তৈরি হলে সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু৷ মৌসুমী বায়ু সক্রিয় না হলে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে দেরি হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ বর্ষা ঢোকার সুখবর থাকলেও নিম্নচাপের পূর্বভাসে নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে উপকূলবর্তী জেলায়৷
কেননা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা৷ বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের নোনা জল তছনছ করে দিয়েছে কৃষি জমি থেকে শুরু করে পুকুর৷ পানীয় জলের সমস্যা প্রবল আকার নিয়েছে৷ প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও৷ সমুদ্রের জল ঢুকে যাওয়ার কারণে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার বাসিন্দা৷ আর এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি নতুন করে বৃষ্টি হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ তবে, বৃষ্টির জলে জমিতে ঢোকা সমুদ্রের নোনা জলের ক্ষতি কিছুটা কমতে পারে৷