কলকাতা: পুজোর মুখে ফের তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড়! সোশ্যাম মিডিয়ায় ও বাংলার কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন নিউজ পোর্টাল সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ের গুজব ছড়িয়েছে৷ একদিকেকরোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে পুজোর আগে ঘূর্ণিঝড়ের গুজবেকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া৷ কিন্তু, ভুয়ো খবরে আতঙ্কিত হবে না৷ উৎসবের আগে এখন কোনও ঘূর্ণিঝড়ের কোনও পূর্বাভাস দেয়নি কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর৷ এখনও পর্যন্ত জারি হয়নি ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সতর্কতা৷ তবে, দুর্যোগের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী শুক্রবার উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে নিম্নচাপটি অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আগামী ১০ তারিখ নাগাদ নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মিলিয়েছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তবে, এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এর অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে নাও থাকতে পারে৷ ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যে৷ বাংলায় বৃষ্টি বাড়তে পারে৷ তবে, নিম্নচাপ যে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হচ্ছেই, তার কোনও পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত জারি হয়নি৷ ফলে, পুজোর আগে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব সংক্রান্ত যে সমস্ত ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাচালি হচ্ছে, তার কোনও সত্যতা এখনও প্রমাণিত নয়৷ ফলে, উৎসবের আগে আতঙ্কিত হবে না৷ যদি, তেমন কোনও আবহাওয়ার বড়সড় পরিবর্তন ঘটে, তা আজ বিকেল ডট কম পাঠকের কাছে যেমন পৌঁছে দেবে, তেমনই সরকারি ভাবেও সতর্কতা জারি হবে৷ যেমনটা আগেও ঘটেছে৷ প্রতিমুহূর্তের আপডেটও দেবে আবহাওয়া দফতর৷ ফলে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সংক্রান্ত ভুয়ো খবর এড়িয়ে চলুন৷
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার অনকূল পরিস্থিতি থাকে৷ বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিলে আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনকূল পরিস্থিতি থাকায় ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে৷ এবার বাংলা-সহ পূর্ব ভারত থেকে বর্ষা বিদায় নিতে কিছুটা দেরি করতে পারে৷ এসেছিল দু’একদিন দেরিতে৷ জানা গিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে থাকা ঘূর্ণাবর্ত থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে রয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা৷ আর সেই কারণে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে৷ যদি নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে গত এপ্রিলে প্রকাশিত হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের তালিকায় পরিবর্তী ঝড়ের নাম হতে পারে ‘গতি’৷ নামটি ভারতের দেওয়া৷ আবহাওয়া সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানতে নজর রাখুন IMD Kolkata-র ওয়েবসাইটে http://imdkolkata.gov.in/