নয়াদিল্লি: চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়েছে মূলত দুটি ভ্যাকসিন দিয়ে। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন। প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও দেশের জনসাধারণের ১০০ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়ে সম্পূর্ণ আশ্বস্ত হতে পারেননি। এই আবহে একাধিক সমীক্ষা এবং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে যেখানে এক একটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে সদ্য একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নতুন করে সংক্রমণ রুখতে ৯৩ শতাংশ কার্যকর। এর পাশাপাশি মৃত্যু রুখতেও ৯৮ শতাংশ কার্যকর এই ভ্যাকসিন।
ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধার উপর সমীক্ষা চালিয়েছে আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল সার্ভিসেস। সেই রিপোর্টেই এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবান পুরুষ। অনেকেরই গুরুতর কোনও অসুখ বা কোমর্বিডিটি নেই। বয়স্ক এবং শিশুদের উপর টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই ওই রিপোর্টে। তবে এই মানুষের ওপর করা এই সমীক্ষা অবশ্যভাবে টিকা নিয়ে ব্যাপক স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে। টিকা সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে ঠিকই কিন্তু এতদিন যা ছিল সবই বাইরের দেশের। সম্প্রতি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষা করে কোভিশিল্ডকে ‘লেটার মার্কস’ দিয়েছিল। এখন খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই রিপোর্ট আরও আশা বাড়াল।
তবে কোউইন পোর্টালের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে এখনো পর্যন্ত দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৩.৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ পায়নি। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের মোট ৯৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ একটি টিকা পেয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল যে চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় নিয়ে গোটা দেশের মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ করতে চায় তারা। কিন্তু যে হারে টিকাকরণের কাজ এগোচ্ছে তাতে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।