কলকাতা: দেশের অভ্যন্তরিণ নিরাপত্তা পক্তো করতে সড়ক পথে দেশের সীমান্তকে জুড়তে চায়েছিল কেন্দ্র৷ প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়৷ উত্তর ২৪ পরগনার গোপালপুরঘাট থেকে দত্তফুলিয়া পর্যন্ত মোট ১২২ কিলোমিটার রাস্তাকে ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের অধীনে চার লেন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ কিন্তু, নায্য ক্ষতিপূরণ ও পুর্নবাসনের দাবি জানিয়ে সম্প্রতি বাদগা বিডিও’য় একটি ডেপুটেশনও জমা দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা৷ শুরু হয় বিক্ষোভ৷ জমি অধিগ্রহণ কর্মসূচির বিরুদ্ধে স্থানীয়দের আন্দোলনের জেরে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় ভারতমালা প্রকল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র৷
জানা গিয়েছে, সোনালি চর্তুভূজ পরিকল্পনা দেশের চার প্রান্তকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা ছিল৷ প্রথম এনডিএ আমলে সে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল৷ এক যুগ পরে এনডিএ-র দ্বিতীয় ইনিংসে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে চার লেনের রাস্তা দিয়ে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ যার পোশাকি নাম- ‘ভারতমালা’৷ সীমান্ত এলাকায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করবে কেন্দ্র সরকার৷ ওই প্রকল্পের অধীনে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিকে জুড়ে ৩২৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
প্রস্তাবিত রাস্তার শুরু ও শেষ কোথায়? জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রের খবর, চার লেনের রাস্তা শুরু হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ওমরপুর থেকে৷ বহরমপুরের চুনাখালি হয়ে রাস্তাটি ঢুকবে নদিয়ার সীমান্তবর্তী করিমপুরে৷ গোপালপুরঘাট থেকে দত্তফুলিয়া হয়ে রাস্তা শেষ হবে বসিরহাটে৷ ‘ভারতমালা’ প্রকল্পে এই নয়া প্রস্তাবিত রাস্তা দু’লেনের পরিবর্তে চার লেন করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ দুই দিকের লেনে ১১ মিটার করে চওড়া ও মাঝে পাঁচ মিটার বরাদ্দ থাকবে ডিভাইডারের রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ কিন্ত, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যায় আপাতত থমকে ভারতমালা প্রকল্প৷