নয়াদিল্লি: ঋণ মকুব করলেই কৃষকদের সমস্যার সমাধান হবে না। বুধবার এমনই দাবি করলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার৷ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি সব চেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু ছিল৷ প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন ক্ষমতায় এলে কৃষকদের মকুব করে দেওয়া হবে৷ সেই মত মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ইতিমধ্যেই কৃষকদের ঋণ মকুব করে দিয়েছে কংগ্রেস সরকার৷
অন্যদিকে কংগ্রেসের পথে হেঁটে গুজরাট ও অসমের বিজেপি সরকারও কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। এদিন তিনি বলেন, ঋণ মকুব করলেই কৃষকদের সমস্যার সমাধান হবে না। ঋণ মকুব ক্ষণস্থায়ী উপশম হিসেবে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সওয়াল করে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার বলেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই সরকার কাজ করে চলেছে। কৃষকদের জন্য বর্তমান সরকার যা করেছে তা আগের কোনও সরকার করেনি। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে এই সরকার কৃষকদের জন্য কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকার কৃষকদের ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে করেছে ১০.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। এদিন কৃষক নীতি বিশেষজ্ঞ রমেশ চন্দ জানিয়েছেন, কৃষিঋণ মকুব করলে একাংশ কৃষকদের সমস্যা সমাধান হতে পারে। কিন্তু সার্বিক সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার। গরিব রাজ্য রাজ্যগুলিতে ১৫ শতাংশ কৃষকেরা ঋণ মকুব থেকে সুবিধা পায়। কারণ এই রাজ্যগুলিতে বেশির ভাগ কৃষকেরা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পায় না। বড় রাজ্যগুলিতে ২৫ শতাংশেরও কম কৃষক ঋণের আওতার মধ্যে পড়ে। এমনকি ক্যাগের রিপোর্টও বলছে ঋণ মকুব কৃষকদের কোনও উপকারে লাগে না।