জলপাইগুড়ি: বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা৷ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা৷ দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল বহু হতাহত হবে৷ সেই আশঙ্কা সত্যি করেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। প্রাথমিক ভাবে চারজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। রাতভর উদ্ধারকাজের পর সেই সংখ্যা আরও খানিকটা বাড়ল৷ এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত প্রায় শতাধিক৷ বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক যাত্রীর শারীরিক অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণে লাগাম নেই, বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও! বঙ্গে কোভিড গ্রাফে চিন্তা
ঘটনা প্রসঙ্গে গতরাতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘অনেক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্রেন আনা হয়েছে৷ ক্রেনের সাহায্যে দুমড়ে যাওয়া কামরাগুলিকে সরানোর চেষ্টা চলছে। রাতেও উদ্ধারকাজ জারি রাখতে দুর্ঘটনাস্থলে সার্চলাইট ও জেনারেটর পাঠিয়েছি।’ আহতদের ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে একদিকে রাতের অন্ধকার, অন্যদিকে কুয়াশার জেরে উদ্ধারকাজে সমস্যা হয় বলেও জানান তিনি। এর মধ্যেও উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ জারি রেখেছেন বলেও জানান তিনি৷
সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যখন কোভিড পর্যালোচনা বৈঠক করছিলেন, সেই সময়েই দুর্ঘটনার খবর আসে৷ বৈঠকের মাঝেই বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ পেয়েই অবিলম্বে অকুস্থলে পৌঁছন রাজ্যের পদস্থ আধিকারিক, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, আইজি নর্থ বেঙ্গল সহ অনেকে। রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও একে একে ঘটনাস্থলে আসতে থাকেন৷ রাতেই ময়নাগুড়ি যান প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব৷ দুর্ঘটনা সম্পর্কে রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এর পরেই রেলমন্ত্রী টুইট করে জানান, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে ফোন করে গোটা ঘটনার ব্যাপারে জেনেছেন। উদ্ধারকাজের অগ্রগতি নিয়েও জানতে চেয়েছেন৷’’