বেড নেই, SSKM-এর কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরে পড়ে থেকে মৃত্যু রোগিণীর

বেড নেই, SSKM-এর কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরে পড়ে থেকে মৃত্যু রোগিণীর

কলকাতা: বেড নেই৷ ভর্তি নেওয়া হল না মুহূর্ষ রোগিণীকে৷ এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরে পড়ে থেকেই মৃত্যু হল আখলিমা বেগম নামে বছর ৫৮-র এক রোগিণীর৷

হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছিল আখলিমা বেগমকে৷ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে৷ তার পর থেকে কখনও জরুরি বিভাগ, কখনও কার্ডিওলজি বিভাগ, আখলিমা বেগমকে ছুটে বেরায় পরিবার৷  তবুও বেড মেলেনি৷ উল্টে লেখা হয় রেফার৷ দিনভর ছোটাছুটির পরও মেলেনি যথাযথ চিকিৎসা৷ অবশেষে মৃত্যু৷ 
 

বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল স্থানীয় গাববেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আখলিমা বেগমকে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা কলকাতায় রেফার করলে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কার্ডিওলজির এমার্জেন্সিতে৷ বলা হয় ইসিজি এবং ইকো করিয়ে আনতে৷ ইসিজি রিপোর্ট দেখেই চিকিৎসকরা জানান, রোগিণীকে ভর্তি করাতে হবে৷ কিন্তু জরুরি বিভাগ থেকে বলা হয় বেড নেই৷ রেগিণীকে চিত্তরঞ্জনে নিয়ে যেতে হবে৷ কিন্তু সেখানেও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ ফিরিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম-এ৷ সেখানে আসার পর আবারও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করানো হয় আখমিলার৷ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, সব কিছু ঠিক আছে৷ আখলিমাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ বেডের অভাবে পড়ে থাকতে থাকতেই মৃত্যু হয় তাঁর৷

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বেড খালি ছিল না৷ তাছাড়া রোগিণীর আপৎকালীন পরিস্থিতি ছিল না বলেই তাঁকে আউটডোরে দেখাতে বলা হয়েছিল৷ এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন রোগিণীকে নিয়ে এহেন গড়িমসি? গতকাল কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরাই আখলিমা বেগমকে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ বেড ফাঁকা না থাকায় তাঁকে আউটডোরে পাঠানো হয়৷ রোগীর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কেন বিকল্প বন্দ্যোবস্ত করল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি এসএসকেএম৷  

আজ সকালে আউটডোরের চিকিৎসক কিছু ওষুধ লিখে জানিয়ে দেন আখলিমার ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। আউটডোর থেকে বেরিয়ে সামনেই রোগিণীকে নিয়ে বসেছিল তাঁর পরিবার। হঠাৎই তাঁর শরীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ দ্রুত এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়েই মরতে হয়েছে আখলিমাকে৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *