ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু, দফায় দফায় বিক্ষোভ

ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু, দফায় দফায় বিক্ষোভ

 
তমলুক: ভুল চিকিৎসার কারণে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুকে। কাঠগড়ার বেসরকারি ডায়াগনিসটিক সেন্টার! ভুল চিকিৎসার কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে এমনটাই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা তমলুক একটি বেসরকারি ডায়াগনসিস সেন্টারে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই ঘটনায় বেসরকারি ডায়াগনিসটিক সেন্টারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সূত্রের খবর, ৩ মাস ৬ মাসের একটি শিশুর জ্বর হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক শহরের একটি চিকিৎসকের কাছে শিশুকে নিয়ে যান তার মা। শিশুকে দেখার পর ওষুধ দেন। তারপর থেকে শিশুটি স্বাভাবিক ছিল বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। আবারও তমলুকে একটি বেসরকারি ডায়াগনিসটিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান তার পরিবারের সদস্যরা। পরীক্ষার পর চিকিৎসক নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন দেন শিশুটিকে।

শিশুর বাড়ির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির জ্বর আসে। এদিন সন্ধ্যাবেলা শিশুর নাক মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এরপর বাড়ির লোকেরা দ্রুত শিশুটিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন মৃত শিশু পরিবারের সদস্য থেকে আত্মীয়-পরিজনরা। শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় ডায়াগনিসটিক সেন্টারে। সেখানে ডায়াগনিসটিক সেন্টার কিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান মৃত শিশু পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মৃত শিশু পরিবারের সদস্য বলেন ” এক মাস আগে শিশুদের নিউমোনিয়া হয়েছিল। নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল শিশুটিকে। সুস্থ হওয়ার পরই বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের চিকিৎসক জানায় নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন দিলে শিশুটি ভালো হয়ে যাবে। বুধবার এসেছিলাম ভ্যাকসিন দিতে। বৃহস্পতিবার সকালে জ্বর আসে। সন্ধ্যায় নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় পরে শিশুটির মৃত্যু হয়৷”

যদিও এ বিষয়ে ডায়াগনিসটিক সেন্টারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তমলুক থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন ” যদিও এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *